কম তেলে বেশি চলে যেসব মোটরসাইকেল, দেখে নিন কমদামে মোটর সাইকেল রিভিউ ও দাম
কম তেলে বেশি চলে যেসব মোটরসাইকেল, দেখে নিন কমদামে মোটর সাইকেল রিভিউ ও দাম নিয়ে আজকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো। আশাকরি যারা বাইক লাভার রয়েছেন এবং ভালো বাইক কম টাকায় কিনতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি সাহায্য করবে।
রানার বুলেট ১০০ Runner Bullet 100 Motorcycle: এই মোটরসাইকেলের ডিস্প্লেসিমেন্ট ইঞ্জিন ১০০.৫৪ সিসি। এতে রয়েছে একটি সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ৪টি স্ট্রোক, একটি এয়ার কোল্ড এবং পেট্রোল ইঞ্জিন। মোটরসাইকেলটির সর্বোচ্চ স্পিড প্রতি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার এবং মাইলেজ প্রতি লিটারে ৫০ কিলোমিটার। এর সামনে ডিস্ক ব্রেক এবং পেছনে ড্রাম ধরনের ব্রেক।কমদামে মোটর সাইকেল এর মধ্যে এই মোটরসাইকেলটির দাম ৯৫ হাজার টাকা মাত্র।
হিরো সুপার স্প্লেন্ডার Hero Super Splendor Motorcycle: এটি কমদামে সেরা মটর সাইকেল কারন এই মোটরসাইকেলের ৪টি স্ট্রোক, একটি সিঙ্গেল সিলিন্ডার এবং একটি ওএইচসি প্রকৃতির ইঞ্জিন রয়েছে। ১২৪.৭ সিসি ডিস্প্লেসিমেন্ট ইঞ্জিনের এই মোটরসাইকেলটির ইঞ্জিনের সর্বোচ্চ পাওয়ার হচ্ছে ৯.১২ পিএস এবং ৭০০০ আরপিএম এবং ইঞ্জিনের সর্বোচ্চ তোরকিউ ১০.৩৫ এনএম এবং ৪০০০ আরপিএম। ইঞ্জিনে একটি এ এম আই ধরণের ইগনিশন সিস্টেম রয়েছে এবং দ্রুত চালুর জন্য রয়েছে একটি ইলেকট্রিক এবং একটি কিক। এই মোটরসাইকেলের মাইলেজ প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার এবং প্রতি লিটারে ৭০ কিলোমিটার। বর্তমানে বাজারে এর দাম ৯৫ হাজার টাকা মাত্র।
বাজাজ ডিসকভার ১০০ সিসি Bajaj Discover 100 cc Motorcycle: আমাকে যদি প্রশ্ন করেন লং ড্রাইভের জন্য কোন বাইক ভালো? তবে আমি এটি সাজেস্ট করবো, এতে রয়েছে একটি এয়ার কোল্ড কুলিং সিস্টেম, টুইন স্পার্ক এবং একটি ডিটি এস আই ধরনের ইঞ্জিন। স্ট্যান্ডার্ড বাজাজ ডিসকভার ১০০ ৪জি মোটরসাইকেলটির ডিস্প্লেসিমেন্ট ইঞ্জিন সংযুক্ত করা হয়েছে ৯৪.৩৮ সিসি। এই ইঞ্জিনের সর্বোচ্চ পাওয়ার ৭.৭ পিএস এবং ৭৫০০ আরপিএম। ইঞ্জিনের সর্বোচ্চ তোরকিউ ৭.৮৫ এনএম এবং ৫০০০ আরপিএম। বাজাজ ডিসকভার ১০০ ৪জি মোটরসাইকেলটি প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯৫ কিলোমিটার এবং প্রতি লিটারে ৬৫ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে সক্ষম। বাজারে এই মোটরসাইকেলের দাম ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা মাত্র আর এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাইক।
হিরো স্প্লেন্ডার আইস্মার্ট Hero Splendor iSmart Motorcycle: ১১০ সিসির এই মোটরসাইকেলটির ইঞ্জিন বেশ তেল সাশ্রয়ী। এয়ার কুলড সিঙ্গেল সিলিন্ডার ৪ স্ট্রোক ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে এই মোটরসাইকেলে। এতে সংযোজন করা হয়েছে ডিজিটাল সিডিআই-অ্যাডভান্সড মাইক্রোপ্রসেসর ইগনিশন সিস্টেম। হিরো মটর করপোরেশনের এই মোটরসাইকেলটি মহাসড়কে প্রতি লিটারে ৬০ কিলোমিটারেরও বেশি পথ যেতে সক্ষম। বর্তমানে এর বাজার মূল্য ১ লাখ ৯ হাজার ৯৯০ টাকা মাত্র।
টিভিএস মেট্রো প্লাস ১১০ সিসি TVS Metro Plus 110 cc Motorcycle : টিভিএস মেট্রো প্লাস ১১০ সিসির শক্তিশালী ইঞ্জিনের। এতে রয়েছে একটি সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ৪টি স্ট্রোক, ডিওএইচসি এবং একটি এয়ার কোল্ড স্পার্ক ইগনিশন সিস্টেম সমৃদ্ধ ইঞ্জিন। ডিসপ্লেসিমেন্ট ইঞ্জিন হচ্ছে ১০৯.৭ সিসি, যা খুবই ভালো মানের ইঞ্জিন। এর সর্বোচ্চ ইঞ্জিন পাওয়ার হচ্ছে ৮.৪ পিএস এবং ৭৫০০ আরপিএম এবং এর সর্বোচ্চ তোরকিউ ৮.৭ এনএম এবং ৫০০০ আরপিএম। এটি প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার এবং প্রতি লিটারে ৮৬ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে সক্ষম। বাংলাদেশের বাজারে এর দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ৯০০ টাকা মাত্র ।
টিভিএস মেট্রো ইএস TVS Metro ES: এর ইঞ্জিনের মধ্যে রয়েছে ৪টি স্ট্রোক, সিঙ্গেল সিলিন্ডার এবং একটি এয়ার কোল্ড। এর ৯৯.৭ সিসি ইঞ্জিন,এই মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ পাওয়ার ৭.৫ বিএইচপি এবং ৭৫০০ আরপিএম এবং বাইকের সর্বোচ্চ তোরকিউ ৭.৫ এনএম এবং ৫০০০ আরপিএম। এই মোটরসাইকেলটি প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার এবং প্রতি লিটারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারবে। এর বাজার মূল্য ১ লাখ ০৪ হাজার ৯০০ টাকা মাত্র।
হিরো এইচএফ ডিলাক্স Hero HF Deluxe: মোটরসাইকেলটির ইঞ্জিন ১০০ সিসি কমিউটিং ফোকাসড। সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ফোর স্ট্রোক এবং এয়ার কুল্ডবিশিষ্ট এই মোটরসাইকেলটির ইঞ্জিন প্রায় ৮.৩৬ পিএস পাওয়ার এবং ৮.৫এনএম টর্ক দিতে সক্ষম। চার গিয়ার ব্যবস্থা। ম্যানুয়াল কিক এবং ইলেকট্রিক সিস্টেমে চালু করা যাবে মোটরসাইকেলটি। এর সর্বোচ্চ স্পিড প্রতি ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার ও মাইলেজ প্রতি লিটারে ৬০ কিলোমিটার। সামনে-পেছনে উভয় দিকে ড্রাম ধরনের ব্রেক।আপনি যদি কম দামে ভালো বাইক ২০২২ খুজেন তবে এটি আপনার জন্য পারর্ফেক্ট বর্তমানে দেশের বাজারে এর দাম ৮৫ হাজার টাকা মাত্র।
কিওয়ে আরকেএস ১০০ Keyway RKS 100: সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ৪টি স্ট্রোক এবং দুটি ভাল্ভ ধরনের ইঞ্জিন রয়েছে এই মোটরসাইকেলে। ৯৯.৭ সিসির ডিস্প্লেসিমেন্ট ইঞ্জিন সংযুক্ত করা হয়েছে এতে। এই ইঞ্জিনের সর্বোচ্চ পাওয়ার ৫.৫ কিলোওয়াট এবং ৭৫০০ আরপিএম আর ইঞ্জিনের সর্বোচ্চ তোরকিউ ৭.৬ এনএম এবং ৫৫০০ আরপিএম। এছাড়াও ইঞ্জিনে সিডি আই ইগনিশন সিস্টেম রয়েছে এবং মোটরসাইকেলটি চালুর জন্য রয়েছে একটি ইলেকট্রিক এবং একটি কিক মাধ্যম। মোটরসাইকেলটি প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার এবং প্রতি লিটারে ৫০ কিলোমিটার যেতে সক্ষম। বাজারে কিওয়ে আরকেএস ১০০ মোটরসাইকেলের দাম ১ লাখ ০৪ হাজার ৯০০ টাকা মাত্র।
বাজাজ প্লাটিনা ইএস Bajaj Platina ES: বাজাজ প্লাটিনা ১০০ ইএস মোটরসাইকেলটি প্রতি ঘণ্টায় ৯০(ইন্টারনালি টেস্টেড) কিলোমিটার এবং প্রতি লিটারে ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে সক্ষম। বাজারে এর দাম রয়েছে ৯৮ হাজার টাকা মাত্র।
হিরো স্প্লেন্ডার প্রো Hero Splendor Pro Motorcycle : হিরো ব্র্যান্ডের এই মোটরসাইকেল এতে রয়েছে শক্তিশালী ইঞ্জিন এবং এই সেগমেন্টের সর্বাধিক সাশ্রয়ী। ১০২ সিসির ইঞ্জিনটি ৮.১ বিএইচপি উৎপন্ন করতে সক্ষম। এর স্টাইলিশ স্পিডোমিটার, সাইড স্ট্যান্ড ইন্ডিকেটরসহ অন্যান্য স্টাইল বেশ নজরকাড়া।
এতে সেলফ ও কিক স্টার্টার রয়েছে। বাজারে বর্তমানে এর দাম ৯৫ হাজার টাকা মাত্র।আমাকে যদি প্রশ্ন করেন মোটরসাইকেল কোন তেলে চলে? সাধারনত বাইক চলে ডিজেল, অক্টেন, ফুয়েল দিয়ে বাইক চলে।