সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৮ হাজার শূন্যপদ
৩৮ হাজার শূন্যপদ নিয়ে চলছে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর-মাউশির আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রায় দুই হাজার শিক্ষক পদ শূন্য। আবার গড়ে প্রতিদিন প্রায় ৪০ জন শিক্ষক অবসরে যাচ্ছেন। কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ৭০ শতাংশ শিক্ষকের পদ ফাঁকা।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহামদ বলেন, ‘শিক্ষক নিয়োগে আগে দুই বছর সময় পার হয়েছে। সারা দেশে একসঙ্গে নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ার কারণে বাড়তি কিছু সময়ের প্রয়োজন হয়। প্রতিবছর প্রায় ছয় হাজার শিক্ষক অবসরে যান।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শাহীনুর শাহীন খান বলেন, ‘প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হওয়ার এক মাস পার হলে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যা বলা যেত। আশা করছি, আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে সরকারি প্রাথমিকের শিক্ষকদের সরাসরি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষ করতে পারব।’
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর-মাউশির আওতাধীন সারা দেশে নিবন্ধিত সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৩ হাজার ৪৩৬। এসব বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকের সংখ্যা চার লাখ ৪১ হাজার ছয়। নতুন শিক্ষাক্রমের ওপর এক দিনের অনলাইন ও তিন দিনের সরাসরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এই স্তরে আরো ২৮ হাজার ১৯৩টি কিন্ডারগার্টেনে কর্মরত আছেন দুই লাখ ৪৬৭ জন শিক্ষক। এই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, একটি নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ হতে না হতেই পুনরায় সমপরিমাণ পদ শূন্য হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন-পিএসসির মাধ্যমে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মানা হয়। এসব দিক বিবেচনা করে অধিকতর যাচাই-বাছাই শেষে নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়।