জেএসসি থেকে সর্বোচ্চ গ্রেড জিপিএ-৪, এ প্লাস থাকবে না, পাস নম্বর ৪০
জেএসসি থেকে সর্বোচ্চ গ্রেড জিপিএ-৪, এ প্লাস থাকবে না, পাস নম্বর ৪০। আগামী জেএসসি পরীক্ষা থেকে পরিবর্তন হচ্ছে গ্রেডিং পদ্ধতি। এখন থেকে গ্রেডিং হবে জিপিএ ফোর। আন্তজার্তিক মানদন্ড বিবেচনায় এনেই পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
২০০১ সাল থেকে পাবলিক পরীক্ষায় চালু হয় গ্রেড পদ্ধতি। সেখানে ৮০ থেকে ১০০ নম্বর প্রাপ্তদের গ্রেড পয়েন্ট ৫, লেটার গ্রেড-এ প্লাস। এটিই সর্বোচ্চ গ্রেড।
এবার এই গ্রেড পদ্ধতিতে আনা হচ্ছে পরিবর্তন। এখন থেকে সর্বোচ্চ গ্রেড হবে জিপিএ-৪। যার নম্বর হবে ৯৫ থেকে ১০০। এ প্লাস বলতে কিছু থাকবে না। ৫ নম্বরের মধ্যে থাকবে দশমিক ১ গ্রেড। পাস নম্বর হবে ৪০। আগামী জেএসসি পরীক্ষা থেকেই এ পরিবর্তন কার্যকর হবে।
নতুন পদ্ধতি অনুযায়ী পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর ১০০ রাখা হয়েছে। তবে জিপিএ-৫ পরিবর্তন করে তা জিপিএ-৪ করা হয়েছে। তার মধ্যে ১০০ থেকে ৯৫ নম্বর পেলে নতুন গ্রেড হিসেবে ‘এক্সিল্যান্ড গ্রেড’ যুক্ত করা হয়েছে। পরবর্তী পাঁচ নম্বর কম ব্যবধানে ‘এ প্লাস’, ‘এ’, ‘এ মাইনাস’, ‘বি প্লাস’, ‘বি’, ‘বি মাইনাস’, ‘সি প্লাস’, ‘সি’, ‘সি মাইনাস’, ‘ডি প্লাস’, ‘ডি’, ‘ডি মাইনাস’, ‘ই প্লাস’, ‘ই’, এবং ‘ই মাইনাস’ গ্রেড দেওয়া হবে। অকৃতকার্য বা ফেল হিসেবে থাকছে ‘এফ’ গ্রেড।
আন্ত:শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিয়াউল হক বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সাথে মিল রেখেই এই পরিবর্তন করছি। সব মহলের সাথে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের যাতে ভোগান্তি না হয় সেটিকে বিবেচনায় রাখতে হবে।
ঢাবির আইইআর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলেন, যে আন্তজার্তিক মানদন্ডের কথা বলে এটি পরিবর্তন হচ্ছে তার আগে মাথায় রাখতে হবে কতভাগ শিক্ষার্থী বিদেশে যাচ্ছে। আর পরিবর্তনের আগে দেখতে হবে প্রস্তুতি আছে কিনা।
গ্রেডিংয়ে পরিবর্তনের ফলে জিপিএ-৫ এর পেছনে ছোটার অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে হবে বলে মত শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, সারাবিশ্বে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে জিপিএ–৪ স্কেলে হয়ে থাকে। আমরাও সেই সঙ্গে তাল মিলিয়ে এসএসসি লেভেল থেকে জিপিএ–৫ স্কেলের পরিবর্তে তা জিপিএ ৪ স্কেলে করার প্রস্তাব রেখেছি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অতীতের চেয়ে বার্ষিক বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বেড়েছে আনুপাতিক হারে। যে কারণে এর মানোন্নয়নে আশানুরূপভাবে কাজ করা যাবে। শুধু শিক্ষার মানোন্নয়নই নয়, এবারের বাজেটে শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়নের দিকেও লক্ষ রাখা হয়েছে। দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে অবকাঠামোর উন্নয়ন প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমপিওভুক্তি প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের নীতিমালা অনুযায়ী, দেশের সব যোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে। এর একটি তালিকাও করা হয়েছে।