স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে ১০টি বাক্য
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে ১০টি বাক্য
১। বাংলাদেশের বর্তমানে সবচেয়ে বড় সেতুর নাম হল পদ্মা বহুমুখী সেতু।
২। পদ্মা সেতু নির্মাণের আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয় বাংলাদেশ সরকার এবং চিনা চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানির সাথে ১৭ই জুন, ২০১৪ইং সালে।
৩। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২৬ নভেম্বর ২০১৪ এবং নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২৩শে জুন ২০২২ সালে।
৪। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজে ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
৫। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন ২৫ জুন ২০২২ খ্রিস্টাব্দে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৬। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য: ৬.১৫ কিলোমিটার বা ২০,২০০ ফুট এবং প্রস্থ: ১৮.১০ মিটার বা ৫৯.৪ ফুট।
৭। স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে ৪২ টি পিলার ও ৪১ টি স্প্যান ব্যবহার করা হয়েছে।
৮। স্বপ্নের পদ্মা সেতু মুন্সিগঞ্জ জেলার মাওয়া এবং শরীয়তপুর জেলার জাজিরা কে পরস্পর সংযুক্ত হয়েছে।
৯। আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহৎ এবং বিশ্বের ১২২ তম দীর্ঘ সেতু।
১০। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের দক্ষিন অঞ্চলের জেলাগুলোর সাথে ঢাকা জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেইসাথে অর্থনৈতিকভাবেও যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক যুগান্তকারী উদাহরণ।
দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আবারও বাড়তে পারে। শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও বাড়ানো হবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, দেশে শীতের প্রকোপ শুরু হয়ে যাওয়ায় প্রতিদিনই আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। শীত শুরুর পর গড় হিসেবে মৃতের সংখ্যা ৩০-এর ওপর। এখনো আমরা করোনায় অনিশ্চিত গন্তব্যে আছি। এই অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঝুঁকি নিতে চায় না শিক্ষা মন্ত্রণালয়। জানুয়ারি মাসে করোনার ভ্যাকসিন আসার পর পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে বলেন, এখনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার মতো পরিস্থিতি হয়নি। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় করোনায় আক্রান্ত। উনি সুস্থ হলে এই বিষয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হবে।
এদিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘শিশুরা যাতে আবার তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে আসতে পারে এবং তাদের শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে পুনরায় শুরু করতে পারে সেজন্য সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতে ভালো দিন আসবে, আমাদের শিশুরা তাদের স্কুলে যেতে সক্ষম হবে, তারা স্বাভাবিকভাবে তাদের পড়াশোনা শুরু করবে। আমরা সে লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকার কোভিড-১৯-এর জন্য স্কুল খুলতে পারছে না এবং অনলাইন ও টেলিভিশনের মাধ্যমে ক্লাস নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সর্বোপরি শিশুরা যদি তাদের স্কুলে যেতে না পারে তবে এটি তাদের ওপর মানসিক চাপ তৈরি করে। সরকার যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখনই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে।’ তিনি আবারও করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
রোববার (১৩ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মিরপুর সেনানিবাসের জাতীয় প্রতিরক্ষা কলেজের শেখ হাসিনা কমপ্লেক্সে ‘জাতীয় প্রতিরক্ষা কোর্স-২০২০’ ও ‘সশস্ত্র বাহিনী যুদ্ধ কোর্স-২০২০’-এর স্নাতক অনুষ্ঠানের বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সকল স্কুল-কলেজ, কারিগরি-মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটি বাড়ানো হতে পারে। শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মধ্যে না ফেলতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হলেও অভিভাবকরা তাদের সন্তানকে পাঠাবেন না। তাই সব কিছু চিন্তা-ভাবনা করে ছুটি বাড়ানোর ঘোষণা আসতে পারে।
প্রসঙ্গত, দেশে করোনার সংক্রমণ শুরুর পর গত ১৭ মার্চ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এরপর কয়েক দফায় ছুটির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। সবশেষ আগামী ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তাছাড়া চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান, প্রাথমিক সমাপনী ও সমমান এবং জেএসসি ও সমমান পরীক্ষা বাতিল করে দেয় সরকার।