শিক্ষা খবরশিক্ষা নিউজ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের প্যানেল চেয়ে স্মারকলিপি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের প্যানেল চেয়ে এবার প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইলেন ২০১৪ সালে স্থগিত হওয়া ২০১৮ সালের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা। ‘প্যানেল চাই, নয়তো চার বছর ফেরত চাই’ শিরোনামে মন্ত্রণালয়ের কাছে চাওয়া দাবি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেন তারা।

সোমবার (১৩ জুলাই) দুপুরে প্যানেল প্রত্যাশী ২০১৪ সালের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ প্যানেল বাস্তবায়ন কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক সালেহা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা রবিবার (১২ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়েছি। এছাড়া প্রতিমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকেও স্মারকলিপি দিয়েছি। মন্ত্রণালয়ের কাছে আমাদের দাবি প্যানেল দেওয়া হোক, না হয় চার বছর ফেরত দেওয়া হোক।’

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের প্যানেল চেয়ে স্মারকলিপি
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ২০১৪ সালে স্থগিত ২০১৮ অনুষ্ঠিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নিয়োগবঞ্চিত ১৯ হাজার ৭৮৮ জন প্রার্থী প্যানেলের অপেক্ষায় রয়েছেন। আগে দুটি পুল ও প্যানেলের মাধ্যমে ৪৩ হাজার শিক্ষক নিয়োগের মামলা জটিলতার কারণে ২০১৪ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি চার বছরের জন্য স্থগিত ছিল। ২০১৮ সালের অক্টোবরে যখন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় তখন শূন্যপদ পূরণ না করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।

লিখিত পরীক্ষায় মোট ১৪ লাখের মধ্যে উত্তীর্ণ হন ২৯ হাজার ৫৫৫ জন প্রার্থী। ওই পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ২ দশমিক ৩ শতাংশ। এদের মধ্যে চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়া হয় ৯ হাজার ৭৬৭ জনকে। বিপুল সংখ্যক যোগ্য প্রার্থীকে বঞ্চিত করে নিয়াগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয় বলে অভিযোগ করেন উত্তীর্ণ প্রার্থীরা।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, পরীক্ষাটি চার বছর স্থগিত থাকার কারণে প্রায় ৯০ শতাংশ প্রার্থীর চাকরিতে আবেদনের বয়স শেষ হয়ে গেছে। এর ফলে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন তারা। ২০১৪ সালের প্যানেল প্রত্যাশীদের সংখ্যা বর্তমানে খুব বেশি নয়। যারা ইতোমধ্যে অনেকেই অন্যান্য চাকরিতে কর্মরত আছেন।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের প্যানেল চেয়ে স্মারকলিপি

স্মারকলিপিতে বর্তমানে শূন্যপদের সংখ্যা ৬০ হাজার দাবি করা হয়েছে। করোনাকালে তীব্র শিক্ষক সংকট মোকাবিলা করার পাশাপাশি যোগ্য ও বঞ্চিত প্রার্থীদের প্যানেলের মাধ্যমে শূন্যপদে প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগের ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয় স্মারকলিপিতে।

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার সময় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন আহ্বায়ক সালেহা আক্তার। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের মধ্যে আকতারউজ্জামান, মহুয়া আক্তার, আমেনা আক্তার, ফাতেমা আক্তার, জান্নাতুল ফেরদৌস, পাপড়ী, রুপ্তি বিশ্বাস, মুন্নি আক্তার, ইয়াসমিন পপি, আকলিমা আক্তার, আফরোজা আক্তারসহ অন্যান্য প্যানেল প্রার্থীরা।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে EducationsinBD.com এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group

Leave a Reply