শিক্ষা নিউজ

শিক্ষার্থীদের অনলাইনে পড়াশোনার জন্য খরচ দেবে সরকার

শিক্ষার্থীদের অনলাইনে পড়াশোনার খরচ দেবে সরকার শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জানিয়েছেন, করোনাকালীন এ সময়টায় যেন শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে অনলাইনে লেখাপড়া করতে পারে সেজন্য তাদের ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ সরকার দিয়ে দেবে।

শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীর যে ডাটা কস্ট সেটি সাবসিডাইজ করার জন্য যেমন ধরুন আমরা একটা সরকারি ওয়েবসাইট করলাম। সেখানে ক্লাসের পড়া রেকর্ডেড থাকবে। যার কাছে একটা স্মার্ট ডিভাইস থাকবে সে তার সময়মতো ক্লাস করে নিতে পারবে। মোবাইল কম্পানিগুলো আমাদের বলবে এই সাইটের জন্য কত টাকা ডাটা কস্ট এসেছে। সেটি সরকার পরিশোধ করে দেবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্কুলপর্যায়ে সব শিক্ষার্থীকে একসঙ্গে ক্লাস না করিয়ে কয়েক ভাগে ভাগ করে ক্লাস নেওয়া সেরকম পরিকল্পনা নিয়ে সরকার কাজ করছে। এটি হতে পারে এক সপ্তাহে কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী ক্লাস করবে। পরের সপ্তাহে অন্যরা। তবে করোনা ভাইরাস মহামারির প্রেক্ষাপটে যে কার্যক্রমই নেওয়া হবে তা জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ীই হবে।’

শিক্ষার্থীদের অনলাইনে পড়াশোনার জন্য খরচ দেবে সরকার

প্রসঙ্গত, দেশে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার ১০ দিনের মাথায় মার্চের মাঝামাঝি সব শিক্ষ প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী স্কুলের বন্ধ কয়েক দফা বাড়িয়ে সর্বশেষ ৩১ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়েছে। সেই থেকে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

বাংলাদেশে শহরের কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে পাঠদান চলছে। টেলিভিশনে অনুষ্ঠানের মাধ্যমেও সরকারের তরফ থেকে পাঠদানের চেষ্টা রয়েছে। তবে দেশে সরকারি হিসেবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে যে চার কোটির বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে তাদের সবার পরিবার স্মার্টফোন কেনার সামর্থ্য রাখে না।

বিশেষ করে মহামারির কারণে যেভাবে মানুষের আয় বন্ধ হয়ে গেছে বা কমে গেছে তাতে অনেকের ক্রয়ক্ষমতাও কমে গেছে। অন্যদিকে শিক্ষা নিয়ে কাজ করে এমন প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে বহু পরিবারে টেলিভিশন পর্যন্ত নেই, – বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে।

কথা হচ্ছিল এরকমই একটি এলাকা কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক এশতেয়ারা রুমার সাথে। তিনি বলছেন, স্কুল খোলার পরপর তাদের হাতে একটি শ্রেণীতে যত বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে তার সবকিছু পড়িয়ে শেষ করা সম্ভব হবে না।

তিনি বলছেন, “শুরুতে প্রতিটা ক্লাসে কিছু বেসিক জিনিস থাকে যেমন প্রথম শ্রেণীতে বর্ণ শেখা ও লিখতে পারা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, দ্বিতীয় শ্রেণীতে শব্দ শেখা, যুক্তবর্ণ ও বাক্য গঠন, তৃতীয় শ্রেণীতে শিক্ষার্থী সাবলীলভাবে রিডিং পড়তে পারবে। যে শ্রেণীতে যে বেসিক বিষয়, সেগুলোর উপরেই স্কুল খোলার পর আমি জোর দেবো।”

এডুকেশনস ইন বিডি/ বিবিসি বাংলা

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে EducationsinBD.com এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *