প্রিমিয়াম সাজেশন Premium Suggestion

তথ্যপ্রযুক্তি ও বাংলাদেশ রচনা জেএসসি এসএসসি এইচএসসি ২০২২ ICT Bangladesh Composition JSC SSC HSC

তথ্যপ্রযুক্তি ও বাংলাদেশ রচনা জেএসসি এসএসসি এইচএসসি ২০২২ ICT Bangladesh Composition JSC SSC HSC 2022.

তথ্যপ্রযুক্তি ও বাংলাদেশ রচনা

সূচনা
বর্তমান যুগ তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। এ যুগে বিশ্বের প্রতিটি দেশ তথ্যপ্রযুক্তির ওপর প্রত্যক্ষ ও পরােক্ষভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। বিশ্বের প্রতিটি দেশ আজ তাদের সকল কর্মকাণ্ড তথ্যপ্রযুক্তি দ্বারা পরিচালনা করে জীবনযাত্রাকে সহজ ও উপভােগ্য করে তুলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। যদিও বাংলাদেশে এর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে দেরিতে তারপরও আমাদের উচিত যত দ্রুত সম্ভব আমাদের দেশের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে সকল ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়ােগ ঘটানাে।

 

অতীত পটভূমি
বাংলাদেশ তার ও টেলিযােগাযােগ বাের্ড সূচনালগ্ন থেকেই জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক টেলিযােগাযােগ ক্ষেত্রে সেবা প্রদান করে আসছে। যোগাযোগ উপগ্রহ প্রযুক্তি চালু হওয়ার পূর্বে HF প্রযুক্তি ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক টেলিফোন সেবা প্রদান করা হতাে, যার ক্ষমতা ছিল অত্যন্ত সীমিত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৪ জুন ১৯৭৫ সালে রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়ায় দেশের প্রথম ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র চালু হয়। অতঃপর পর্যায়ক্রমে তালিবাবাদ, মহাখালী এবং সিলেটে আরও ৩টি উপগ্রহ কেন্দ্র চালু করা হয়। দেশে বেসরকারি খাতে ইন্টারনেট এবং আইসিটি বিষয়ক কার্যক্রম বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৯০-এর দশকে ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রের পাশাপাশি দেশে ভি-স্যাটের ব্যবহার শুরু হয় এবং পরবর্তীতে ভি-স্যাটের ব্যবহার উন্মুক্ত করা হয়।

 

ইতােমধ্যে বাংলাদেশ সরকারের টেলিযােগাযােগ নীতিমালা অনুযায়ী আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং আইসিটি টাস্কফোর্সের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশকে গ্লোবাল ইনফরমেশন সুপার হাইওয়ের সাথে সংযােগের জন্য সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক টেলিযােগাযােগ নীতিমালা অনুযায়ী আন্তর্জাতিক নেটওয়ের সাথে সংযােগের জন্য সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক টেলিযােগাযােগ ব্যবস্থা শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং পশ্চিম ইউরােপের ১৪টি দেশের মােট ১৬টি কোম্পানির সমন্বয়ে গঠিত কনসাের্টিয়ামে (SEA-ME-WE-4) যােগ দিতে ২০০২ সালে একটি সমঝােতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

তথ্যপ্রযুক্তির ধরন ও বৈশিষ্ট্য
তথ্যপ্রযুক্তির বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যথেষ্ট শক্তিশালী প্রযুক্তি হওয়ায় এটাকে সাধারণ মানুষের ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা সম্ভব। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষ সহজেই দূরত্বকে জয় করতে পারছে। তাৎক্ষণিকভাবে পৃথিবীর একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে শব্দ, ছবি ও লেখা আদানপ্রদান করা সম্ভব হচ্ছে। এটা এমন এক প্রযুক্তি, যা পৃথিবীর যেকোনাে দেশের মানুষ আয়ত্ত করতে পারে এবং এক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। এর দ্বারা সৃষ্ট নতুন কর্মক্ষেত্রগুলাে অধিকাংশই গরিব দেশগুলাের জন্য বিশেষভাবে উপযােগী। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে কাজ করার জন্য কাউকে শহরের দিকে ছুটতে হয় না; বরং যে যেখানে আছে, সেখান থেকেই নতুন ধরনের উপার্জনশীল কাজে শরিক হতে পারে। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষিত-অশিক্ষিত নির্বিশেষে সকল শ্রেণির মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে কোনাে বাধা নেই।

রপ্তানি বাণিজ্যে সম্ভাবনা সৃষ্টি
রপ্তানি বাণিজ্যের ক্রমাগত সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি একটি বড় ধরনের সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে পারে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দিকে দৃষ্টিপাত করলে এর সত্যতা সহজেই প্রমাণিত হয়। এ কাজে বহু দূর এগিয়ে গেছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। বর্তমানে ভারতের মােট রপ্তানি বাণিজ্যের একটি বড় অংশ আসে সফটওয়ার শিল্প থেকে। এ শিল্প খুব দ্রুত পােশাক শিল্প থেকে অর্জিত আয়কে ছাড়িয়ে যাবে একথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক
তথ্যপ্রযুক্তির ফলে সফটওয়্যার রপ্তানি ছাড়াও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের আরও অনেক পথ উন্মুক্ত হবে। তথ্যপ্রযুক্তির মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে স্বল্প পারিশ্রমিকসম্পন্ন প্রশিক্ষিত জনবল। এ ব্যবস্থায় যত বেশি স্বল্প পারিশ্রমিকসম্পন্ন প্রশিক্ষিত জনবল সৃষ্টি করা যাবে, তত বেশি কাজ বিদেশ থেকে আনা সম্ভব হবে। জনবল সৃষ্টি করা কোনাে সমস্যা নয়। চাহিদা সৃষ্টি হলে সেই সুযােগ গ্রহণ করার উপযুক্ততা সৃষ্টি করতে মােটেও বিলম্ব হবে না। পৃথিবীব্যাপী উন্নয়নশীল দেশগুলােতে যে পরিমাণ তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবসা হচ্ছে, তার ৫ শতাংশ ব্যবসাও যদি আমাদের দেশে করা সম্ভব হয় তাহলে আমাদের দেশের মানুষের কর্মসংস্থানের অভাব হবে না।

তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারে করণীয়
তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারের জন্য টেলিফোন ও ইন্টারনেট কাঠামাে শক্তিশালী করতে হবে। সবার জন্য তথ্যপ্রযুক্তি নিশ্চিত করতে হলে টেলিফোন সার্ভিসকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিতে হবে। এক্ষেত্রে বিটিটিবিকে একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত এবং ফিক্সড টেলিফোনের খাতকে বেসরকারি খাতের বিনিয়ােগের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া যেতে পারে। দেশের অর্থনীতিতে গতিশীলতা আনতে টেলিফোনই হতে পারে সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম।

 

বেসরকারি উদ্যোক্তারা এক্ষেত্রে এগিয়ে আসলে তাদেরকে পৃষ্ঠপােষকতা প্রদান করতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ প্রবাহকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে আমাদের দেশে অবিলম্বে টেলিফোনের আন্তর্জাতিক সংযােগ ব্যবস্থা (ইন্টারন্যাশনাল গেইটওয়ে)-কে উন্মুক্ত করে দিতে হবে, যাতে দেশের যেকোনাে ব্যবসায়ী এ ব্যবসাকে আইনসম্মতভাবে পরিচালনা করতে পারে। এসব পদক্ষেপ গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়ন করতে পারলে আন্তর্জাতিক যােগাযােগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত ব্যবসায় যথেষ্ট গতি সঞ্চার হবে এবং দেশের জন্য অসামান্য সুফল বয়ে আনবে।

 

গ্রামাঞ্চলে ইন্টারনেটের প্রসার
টেলিফোন ও ইন্টারনেট যত সস্তা হবে, এগুলাে তত বেশি সাধারণ মানুষের দোরগােড়ায় তথা প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে যাবে। মানুষ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজ নিজ সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির সুযােগ পাবে। সুতরাং সরকারের লক্ষ্য হওয়া উচিত তথ্যপ্রযুক্তি মানুষের দোরগােড়ায় পৌছে দেওয়ার জন্য বেসরকারি উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করা। তথ্যপ্রযুক্তিগত অবকাঠামাে স্থাপন ও পরিচালনা থেকে কর সংগ্রহ করে রাজস্ব বৃদ্ধি সরকারের লক্ষ্য হওয়া মােটেই উচিত হবে না। সরকারের লক্ষ্য হতে হবে তথ্যপ্রযুক্তির দ্রুত সম্প্রসারণকে উৎসাহ প্রদান এবং অধিকতর প্রতিযােগিতা সৃষ্টি।

শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের উন্নয়ন
তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য ছাড়াও দেশের অভ্যন্তরে জনসাধারণের জন্য বহু সুযােগ সৃষ্টি হতে পারে। এ প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য কাউকে স্কুল-কলেজ পাশ করার আবশ্যকতা নেই বলে তাৎক্ষণিকভাবে এ প্রযুক্তিতে সকলকেই কাজে লাগানাে সম্ভব। যে অশিক্ষিত লােকটি জীবনে কোনােদিন তথ্যপ্রযুক্তির কথা শােনেনি, সেও নির্ভয়ে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবে। তথ্যপ্রযুক্তি স্বাস্থ্যসেবা, জ্ঞান-বিজ্ঞান সকলের কাছে পৌছে দিতে সক্ষম। এর জন্য প্রয়ােজন উদ্যোগ ও আন্তরিকতা।
সাবমেরিন ক্যাবল-এর অভাব, টেলিফোনের অপ্রতুলতা, ইন্টানেটের সীমাবদ্ধতা এবং ব্যান্ডউইথ-এর অপর্যাপ্ততা অতিক্রম করতে পারলে মানুষের জীবনযাপনের জন্য প্রয়ােজনীয় সকল ধরনের সেবা নিশ্চিত করা যাবে।

উপসংহার
তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে সারা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে এখানে তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। দেশের প্রতিটি জেলা ও থানা পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তির ছোঁয়া লাগাতে হবে। তাহলেই তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষ তাদের জীবনমান উন্নত করে দেশের উন্নয়নে সূচনা রাখতে পারবে। তাই এ ব্যাপারে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সবিশেষ সূচনা রাখা অত্যাবশ্যক।

রচনা : আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ও বাংলাদেশ

তথ্য-প্রযুক্তির মহাসড়কে বাংলাদেশ

 

ভূমিকা : বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। শিল্প বিপ্লবের পর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়ন পৃথিবীতে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নজিরবিহীন উন্নতির ফলে গোটা বিশ্ব আজ গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি দূরকে এনেছে চোখের সামনে, পরকে করেছে আপন, আর অসাধ্যকে সাধন করেছে। তথ্যপ্রযুক্তি বর্তমান বিশ্বের সকল প্রকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মূল হাতিয়ার। যে জাতি তথ্যপ্রযুক্তিতে যত বেশি দক্ষ, তাদের সার্বিক অবস্থাও তত বেশি উন্নত।

তথ্যপ্রযুক্তি কি? : তথ্য সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, ব্যবস্থাপনা এবং বিতরণের জন্য ব্যবহৃত প্রক্রিয়া ও পদ্ধতির সমন্বয়কে তথ্যপ্রযুক্তি বলা হয়। কম্পিউটিং, মাইক্রো ইলেকট্রনিক্স, টেলিকমিউনিকেশন ইত্যাদি বিষয় তথ্যপ্রযুক্তির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।

তথ্যপ্রযুক্তি ও বর্তমান বাংলাদেশ/তথ্যপ্রযুক্তিতে আমাদের বর্তমান অবস্থা : গত দুই দশকে বিশ্বজুড়ে ঘটেছে অভাবনীয় সব পরিবর্তন। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষ সময় ও দূরত্বকে জয় করেছে। বিশ্বকে এনেছে হাতের মুঠোয়। বাংলাদেশও তথ্যপ্রযুক্তির এ জীয়নকাঠির স্পর্শে ধীরে ধীরে জেগে উঠছে। গত দশ বছরে এ দেশে তথ্যপ্রযুক্তির উল্লেখযোগ্য বিকাশ ঘটেছে। তথ্যপ্রযুক্তি যে বাংলাদেশের জন্যও সম্ভাবনাময় প্রযুক্তি, এ কথা আজ সবাই উপলব্ধি করছে।

 

তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার : তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার যে জীবনযাত্রার মান বদলে দিতে পারে তা বিশ্বাস করতে এখন আর কেউ ভুল করছে না। তাই তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাংলাদেশে এখন অনেক বেড়েছে। স্কুল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত কম্পিউটার শিক্ষা কার্যক্রম প্রবর্তন করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত কম্পিউটারের ব্যবহার বাড়ছে। দেশে এখন কম্পিউটার হার্ডওয়্যার, সফ্টওয়্যার, ইন্টারনেট ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৭ থেকে ৮ হাজারের মতো। সারা দেশে কম্পিউটার হার্ডওয়্যারের শো-রুম রয়েছে সহস্রাধিক। ঢাকাতেই গড়ে উঠেছে ৫ শতাধিক হার্ডওয়্যার প্রতিষ্ঠান। সফ্টওয়্যার প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও শতাধিক।

 

তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারে সরকারের পদক্ষেপ : কোনো দেশকে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিশ্ব পরিমণ্ডলে নিজের অবস্থান সুদৃঢ় ও উজ্জ্বল করতে হলে তথ্যপ্রযুক্তি বিকাশের কোনো বিকল্প নেই। বর্তমান সরকারের (শেখ হাসিনা সরকার) অন্যতম নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল তথ্যপ্রযুক্তির সম্ভাবনা সর্বোচ্চ বিকাশের মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়ন। ও লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের শাসনামলে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশে সহায়ক কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন আধুনিক যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো। আর তাই দেশের অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়ন করা হচ্ছে। প্রায় সারা দেশ ডিজিটাল টেলিফোনের আওতায় চলে আসছে। ইতোমধ্যেই দেশের প্রতিটি জেলায় ইন্টারনেট পৌঁছে গেছে। শিগগিরই উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে যাবে।

অর্থনৈতিক উন্নয়নে তথ্যপ্রযুক্তির ভূমিকা : তথ্যপ্রযুক্তিকে মূলধন হিসেবে ব্যবহার করে এবং মেধা ও শ্রমকে কাজে লাগিয়ে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, তাইওয়ান, ভারত, থাইল্যান্ড প্রভৃতি দেশ অনেক এগিয়ে গেছে। অথচ আমাদের নির্বুদ্ধিতার কারণে আজ আমরা তথ্যের সুপার হাইওয়ের সাথে যুক্ত হতে পারছি না। আবার সরকারের অনীহার কারণে ফাইবার অপটিকস ব্যবহারের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছি আমরা। তাই আমাদের প্রচুর টাকা খরচ করে ব্যবহার করতে হচ্ছে ভি স্যাটের লাইন। তবে নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও তথ্যপ্রযুক্তি খাত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিভিন্নভাবে অবদান রাখছে। দেশে কম্পিউটার সফ্টওয়্যার তৈরি বেশ বেড়েছে। দৈনিক পত্রিকার তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সরকারি হিসাবে ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সফ্টওয়্যার রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ।

 

সম্ভাবনাময় সফ্টওয়্যার শিল্প : বাংলাদেশে বর্তমানে সফ্টওয়্যার শিল্প সবচেয়ে সম্ভাবনাময় শিল্প হিসেবে দেখা দিয়েছে। হার্ডওয়্যার নির্মাণের সঙ্গে এখনো বাংলাদেশ তেমনভাবে জড়িত হয়নি। এ দেশে সফ্টওয়্যার, মাল্টিমিডিয়া সফ্টওয়্যার ও ওয়েব সফ্টওয়্যার। এর মধ্যে দেশে শিক্ষা ও বিনোদনে কম্পিউটারভিত্তিক মাল্টিমিডিয়ার বাজার অতি দ্রুত প্রসার হচ্ছে। দেশের ১৬ শতাংশ সফ্টওয়্যার ফার্ম তাদের ডেভেলপ করা সফ্টওয়্যার বিদেশে রপ্তানি করছে।

 

কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে তথ্য প্রযুক্তি শিল্প : বাংলাদেশে বর্তমানে কম্পিউটার হার্ডওয়্যার, সফ্টওয়্যার, ইন্টারনেট ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য ৭-৮ হাজার প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এ সকল প্রতিষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক বেকার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান হচ্ছে। তারা সহজেই ভালো উপার্জন করতে পারছে।

 

তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের জন্য করণীয় : বর্তমান একবিংশ শতাব্দীর প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে বাংলাদেশকে টিকে থাকতে হলে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের বিকল্প নেই। আমাদের দেশের শিক্ষিত তরুণ সম্প্রদায় তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় তাদের যোগ্যতা বারবারই প্রমাণ করেছে। তাই আমাদের তরুণদের মেধা, সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী শক্তিকে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য কার্যকরী করে তুলতে হবে। এজন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা দরকার।

 

জাতীয় তথ্য অবকাঠামো গঠন : জাতীয় তথ্য অবকাঠামো গড়ে তোলা ব্যতীত বিশ্বব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তি বিপ্লবের অংশীদার হওয়া সম্ভব নয়, যে রকম সংযোগ সড়ক ছাড়া মহাসড়কে পৌঁছানো সম্ভব নয়। তথ্য অবকাঠামো ব্যতীত গ্রামীণ বাংলাদেশ তথ্য বৈষম্যের শিকার হবে, যা বাজার অর্থনীতি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সুবিধালাভের সম্ভাবনাকে সংকুচিত করে ফেলবে। ফলে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির অংশীদার হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে।

 

টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন : টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা তথ্য অবকাঠামোর মেরুদণ্ড। শক্তিশালী ও সুবিস্তৃত টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যতীত তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন একেবারেই অসম্ভব। অথচ এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রবেশের কোনো সুযোগ নেই। টেলিনেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে বার্ষিক লক্ষ্য নির্ধারণ ও তার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।

 

বাস্তবভিত্তিক যোগ্যতা অর্জনের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নের ব্যবস্থা করাতে হবে।
তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতি চালু করা : বিশ্বব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক প্রসারের যুগে জীবনযাত্রার সকল ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের প্রতি আমরা কত দ্রুত সাড়া দেব তার ওপর নির্ভর করছে আগামী দিনের বাংলাদেশের ভাগ্য। তাই আমাদের উচিত অতি দ্রুত তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য, ব্যাংকিং ও অর্থনীতি চালু করা।

 

তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালুকরণ : সুদক্ষ ব্যাংকিং ব্যবস্থা দেশের অর্থনীতির প্রাণশক্তি। আর এই ব্যাংকিং খাতকে দক্ষ, যুগোপযোগী ও আধুনিক করার জন্য তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালুকরণের কোনো বিকল্প নেই তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক দক্ষ সরকারব্যবস্থা গঠন : তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়ন সাধন করার জন্য প্রয়োজন তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক দক্ষ সরকারব্যবস্থা গড়ে তোলা। আর এ জন্য অন্যতম করণীয় হলো সরকারি তথ্যে অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইন্টারনেটভিত্তিক তথ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা।

 

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিই বর্তমান বিশ্বে সকল প্রকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মূল হাতিয়ার। যে জাতি তথ্যপ্রযুক্তিতে যত বেশি দক্ষ, তাদের সার্বিক অবস্থাও তত বেশি উন্নত। তাই তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও যুবদের বেকারত্ব দূর করার জন্য আমাদেরকে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। দেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লব ঘটানোর জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

ICT Bangladesh Composition 2022

Introduction: Information and communication technology is the most discussed and important topic in the present world. The development of information and communication technology is the most significant event in the world since the industrial revolution. Due to the unprecedented advancement in information and communication technology, the entire world today has become a global village. Information technology has brought the distance in front of the eyes, made the other our own, and made the impossible possible. Information technology is the main tool for all development activities in today’s world. The more IT-savvy a nation is, the better off it is overall. There is no alternative to information technology to prepare for the challenges of the 21st century and to strengthen and shine its position in the global arena in knowledge, science, and technology. Because both the opportunities and challenges of the 21st century revolve around information technology.

What is information technology? : The combination of processes and methods used for storing, processing, managing, and distributing information is called information technology. Computing, microelectronics, telecommunication, etc. subjects are closely related to information technology.

Information Technology and Present Bangladesh/Our Current Status in Information Technology: The last two decades have seen incredible changes in the world. Humans have conquered time and distance through information technology. Brings the world to your fingertips. Bangladesh is slowly waking up to the touch of this lifeblood of information technology. In the last ten years, there has been significant development of information technology in this country. Today everyone is realizing that information technology is a potential technology for Bangladesh as well.

Use of Information Technology: No one is wrong now to believe that the use of information technology can change the standard of living. Therefore, the use of information technology has increased a lot in Bangladesh. Computer education programs have been introduced from schools to universities. The use of computers is constantly increasing. The number of computer hardware, software, internet, and information technology training institutes in the country is about 7 to 8 thousand. There are thousands of computer hardware showrooms across the country. More than 500 hardware companies have been established in Dhaka. The number of software companies is also hundreds.

Government’s steps in the expansion of information technology: If a country wants to strengthen and shine its position in the world in knowledge, science, and technology, there is no alternative to the development of information technology. One of the election pledges of the current government (Sheikh Hasina government) was human resource development through the maximum development of information technology. And for this purpose, some steps have been taken to help the development of information technology during the current government regime.

The government has approved the ‘National Information and Communication Technology Policy’ for the rapid expansion of information technology. In an effort to properly implement this policy, the government has set up an ‘ICT Incubator’ with state-of-the-art facilities on a 70,000 square feet floor in Karwan Bazar, the heart of Dhaka.
An ‘ICT Business Promotion Center’ has been set up to market Bangladesh’s software and IT products abroad.
Hi-tech Park is being established on 265 acres of land at Kaliakore near Dhaka with the aim of spreading information technology. Recently the fiber optic line of railways has been opened for public use.

Prospective Software Industry: Currently software industry has emerged as the most promising industry in Bangladesh. Bangladesh is not yet involved in hardware manufacturing. Software, multimedia software, and web software in this country. Among these, the market of computer-based multimedia in education and entertainment is expanding very rapidly in the country. 16 percent of the country’s software firms are exporting their developed software abroad.

The information technology industry in creating employment: At present, 7-8 thousand institutions have been established in Bangladesh to provide training in computer hardware, software, the internet, and information technology. A large number of unemployed youths are getting employment in all these institutions. They can easily earn good money.

To be done for the development of information technology: If Bangladesh is to survive in the competitive world of the present 21st century, there is no alternative to the development of information technology. The educated youth community of our country participates in various international competitions in information technology and has proven its worth time and again. So we need to harness the talent, creativity, and innovation of our youth to meet the challenges of the 21st century. For this, the following steps need to be taken and implemented.

Building National Information Infrastructure: Without building a national information infrastructure, it is not possible to be a part of the global IT revolution, just as it is not possible to reach a highway without connecting roads. Without information infrastructure, rural Bangladesh will suffer from information disparity, which will narrow the possibilities of benefiting from the market economy, education, and health sectors. As a result, Bangladesh will be deprived of the opportunity to become a partner of the new economy based on information technology.

Development of Telecommunication Systems: Telecommunication systems are the backbone of information infrastructure. The development of information technology is absolutely impossible without a strong and comprehensive telecommunication system. But the majority of the people of this country have no access to the telecommunication system. Setting annual targets for telenetwork expansion and ensuring their implementation.

Human resource development: Without efficient human resource development, poverty eradication and the development of information technology is not possible under any circumstances. So for human resource development.
Giving importance to English education as technical education.
Arrangements should be made to improve the relationship between the IT industry and educational institutions to achieve practical qualifications.
Launching IT-based industries, trade, and economy: The fate of Bangladesh in the future depends on how quickly we respond to the use of IT in all aspects of life in the era of global IT expansion. So we should start IT-based industries, commerce, banking, and the economy very quickly.

Introduction of IT-based banking system: Efficient banking system is the lifeblood of the country’s economy. And to make this banking sector efficient, up-to-date, and modern, there is no alternative to introducing an IT-based banking system.

Building an efficient government system based on information technology: To achieve national development through the development of information technology, it is necessary to build an efficient government system based on information technology. And for this, one of the things to do is to develop Internet-based information management to ensure free access to government information.

Conclusion: Finally it can be said that information and communication technology is the main tool of all kinds of development activities in today’s world. The more IT-savvy a nation is, the better off it is overall. So we need to adopt and implement short and long-term plans for poverty alleviation, economic development, and youth unemployment through information technology. All efforts should be made to revolutionize information technology in the country. Through the united efforts of the government, various private institutions, and people of all levels, Bangladesh will soon be able to make a revolution in the field of information technology and become free from hunger and poverty and strengthen and shine its position in the world in knowledge, science, and technology – this is our only hope.

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে EducationsinBD.com এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group

Leave a Reply