শিক্ষা খবর

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর রচনা জেএসসি এসএসসি এইচএসসি ২০২৪ Liberation War Museum Composition

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর রচনা জেএসসি এসএসসি এইচএসসি ২০২৪ Liberation War Museum Composition JSC SSC HSC 2024.

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর

রচনা
আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায় রচিত হয় ১৯৭১ সালে। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অস্তিত্বের সূতিকাগার। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের এ গৌরবােজ্জ্বল ইতিহাস-ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে স্বর্ণোজ্জ্বল ইতিহাসের সঙ্গে পরিচিত করে তােলার লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

 

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এখন দেশের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক একটি অন্যতম প্রতিষ্ঠান। সেগুনবাগিচায় ভাড়াবাড়িতে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৯৬ সালের ২২শে মার্চ। এটি ছিল একেবারেই ব্যক্তিগত পর্যায়ের উদ্যোগ। বর্তমানে এটি ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত। এখন জাদুঘরের সংগ্রহে রয়েছে মুক্তিযােদ্ধা ও শহিদদের ব্যবহৃত সামগ্রী, অস্ত্র, দলিল, চিঠিপত্র ইত্যাদি মিলিয়ে ১৭ হাজারেরও বেশি নিদর্শন।

 

আর ১০২ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নয়তলা ভবন। ভবনের ভূগর্ভস্থ । তিনটি তলায় রয়েছে কার পার্কিং, আর্কাইভ, ল্যাবরেটরি, প্রদর্শনশালা ইত্যাদি। নিচতলায় জাদুঘর কার্যালয় ও মিলনায়তন। প্রথম তলায় শিখা অম্লান, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার ব্রোঞ্জনির্মিত ভাস্কর্য, মুক্তমঞ্ছ, ক্যানটিন, স্মারক বিক্রয়কেন্দ্র ও টিকিট কাউন্টার। এখানে একটি হেলিকপ্টার ও একটি বিমানও রয়েছে ছাদের সঙ্গে আটকানাে। এগুলাে ব্যবহৃত হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধে। দ্বিতীয় তলায় রয়েছে গবেষণাকেন্দ্র ও পাঠাগার। তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় চারটি মূল প্রদর্শনকক্ষ। পঞ্চম তলায় আন্তর্জাতিক প্রদর্শনকক্ষ। প্রথম প্রদর্শনকক্ষের নাম ‘আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের সংগ্রাম’।

 

এই প্রদর্শনকক্ষটিতে প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে ব্রিটিশবিরােধী আন্দোলন, রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন হয়ে ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত দেশের ভূপ্রকৃতির বৈশিষ্ট্য, ইতিহাস ও সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়েছে । ফসিল, প্রাচীন টেরাকোটা, মৃৎপাত্র, শিলাখণ্ডসহ নানা প্রকার নিদর্শনের সঙ্গে রয়েছে ঐতিহাসিক ঘটনা ও ব্যক্তির আলােকচিত্র । দ্বিতীয় প্রদর্শনকক্ষের নাম ‘আমাদের অধিকার, আমাদের ত্যাগ’। এই কক্ষটি থেকেই দর্শক সরাসরি ঢুকে পড়বেন মহান মুক্তিযুদ্ধের পর্বে। ভেতরে ঢুকতেই চোখে পড়বে বিশাল এক সাদাকালাে ছবি।

 

স্বাধীনতার দাবিতে রেসকোর্স ময়দানে অগণিত মানুষের বিশাল সমাবেশ, ১৯৭০ সালের ৩রা জানুয়ারি ছবিটি তুলেছিলেন শুক্কুর মিয়া নামের এক আলােকচিত্রী । যে ক্যামেরাটি দিয়ে দৃশ্যটি ধারণ করা হয়েছিল, সেই ক্যামেরাটিও আছে ছবির নিচে। এখানে আছে ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেই ঐতিহাসিক ভাষণের ছবি। এই গ্যালারির একটি অংশে চমৎকার স্থাপনাকর্মের মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তােলা হয়েছে ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ কালরাতের গণহত্যার ঘটনা।

 

অপারেশন সার্চলাইট নামে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঢাকায় ঘুমন্ত বাঙালির ওপর ট্যাংক, কামান ও সাঁজোয়া যান নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায়। পরের দুটি প্রদর্শনকক্ষ চতুর্থ তলায়। এর প্রথমটির শিরােনাম ‘আমাদের যুদ্ধ, আমাদের মিত্র’। এখানে আছে ভারতে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের জীবনযাত্রা, বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বড় আকারের ডিজিটাল প্রিন্ট। মুক্তিযােদ্ধাদের প্রশিক্ষণ, বিভিন্ন সেক্টরে ভাগ হওয়া ও রাজাকারদের তৎপরতা, মুক্তিযােদ্ধাদের গেরিলাযুদ্ধের আশ্রয়স্থল এসব। এর পাশাপাশি আছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে দেশি-বিদেশি যাঁরা,বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছেন, জনমত সৃষ্টি করেছেন সে দিকগুলাে। রয়েছে পণ্ডিত রবিশঙ্করের উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রে আয়ােজিত ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ গানের জর্জ হ্যারিসনের (George Harrison) হাতে লেখা পাণ্ডুলিপি, সুরের স্টাফ নােটেশন।

 

শেষ প্রদর্শকক্ষটির নাম রাখা হয়েছে ‘আমাদের জয়, আমাদের মূল্যবােধ’। এতে আছে নৌযুদ্ধের বিভিন্ন নিদর্শন, বিলােনিয়ার যুদ্ধের রেলস্টেশনের রেলিং, ট্রলি, মিত্রবাহিনীর ছত্রীসেনাদের আক্রমণ, দগ্ধ বাড়িঘর প্রভৃতি। শেষ হয়েছে ১৯৭২ সালের স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানের অনুলিপিটি দিয়ে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে দেশের মানুষকে সচেতন করতে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নানা ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে। জাদুঘরের ব্যবস্থাপনায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী পরিবহন ও পরিদর্শন সুবিধা-সংবলিত কর্মসূচি পরিচালিত হয়।

 

এছাড়া একটি গাড়িকে ভ্রাম্যমাণ জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়েছে, যাতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে একটি ছােট প্রদর্শনশালাতেও উন্মুক্ত রয়েছে। এখানে বিভিন্ন প্রদর্শনী ও অনুষ্ঠানের আয়ােজন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর বিশ্বের অপরাপর আটটি দেশের সমভাবাপন্ন জাদুঘরের সঙ্গে মিলে গঠন করেছে ‘ইন্টারন্যাশনাল কোয়ালিশন অব হিস্টরিক মিউজিয়ামস অব কনসান্স’ । জাদুঘরের সংগৃহীত স্মারক সংখ্যা দশ হাজারের অধিক।

 

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি তথা আমাদের গৌরবময় জাতীয় ইতিহাস-ঐতিহ্যের যথাযথ সংরক্ষণ এবং প্রদর্শনই মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের লক্ষ্য। জাদুঘর দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে জনসমক্ষে তুলে ধরার মধ্য দিয়ে অতীত এবং বর্তমানের মধ্যে সেতুবন্ধন স্থাপন করে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর বহুমাত্রিক জাদুঘর নয়, তবে বাংলাদেশের জাতীয় জীবন ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ সৃতি-স্বারক-দলিলপত্র ইত্যাদির একমাত্র ও অন্যতম সংগ্রহশালা। আমাদের ভবিষৎ প্রজন্ম যেন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভুলে না যায় এবং এর সঠিক ইতিহাস জানতে পারে এটাই মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রধান লক্ষ্য।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর রচনা

ভূমিকা :
মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা । পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে যে শোষণ ও অত্যাচারের শুরু হয়েছিলতার অবসান ঘটে এই যুদ্ধের মাধ্যমে । সমগ্র জাতি দেশের মুক্তির জন্য আত্মোৎসর্গের চেতনায় নিজেদের উজাড় করে দিয়েছিলএই যুদ্ধে । ফলে একসাগর রক্তের বিনিময়ে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের ।

মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের গর্ব , আমাদের অহংকার । মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বাঙালি জাতির কাছে স্বর্ণময় এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় । আমাদের মুক্তিযুদ্ধেরইতিহাস ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তা জানানোর জন্য সম্পূর্ণ বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধজাদুঘর।

জাদুঘরের প্রতিষ্ঠা :
১৯৯৬ সালের ২২ মার্চ ঢাকাস্থ সেগুনবাগিচার একটি দোতলা ভবনে প্রতিষ্ঠা করা হয় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর । বাংলাদেশের গৌরবময়মুক্তিযুদ্ধ – সংক্রান্ত তথ্য , প্রমাণ , বস্তুগত নিদর্শন , রেকর্ডপত্র ও স্মারকচিহ্নসমূহ সংগ্রহ , সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের সুব্যবস্থা করাহয়েছে এখানে ।

নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠভাবে ঐতিহাসিক ঘটনাধারা দেশবাসীর সামনে তুলে ধরার প্রয়াসে দেশের কয়েকজন বরেণ্যব্যক্তি স্ব – উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করেন । প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে রয়েছেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব আলী জাকের, সারা যাকের , আসাদুজ্জামান নূর , জিয়াউদ্দিন , তারেক আলী , ডা . সারওয়ার আলী , রবিউল হুসাইন , আকু চৌধুরী ওমফিদুল হক । এঁদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এসে অনেক ব্যক্তি বিভিন্ন স্মারক , তথ্য – প্রমাণ ও আর্থিক সাহায্য প্রদান করেন। বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর পরিচালিত হয় একটি ট্রাস্টি বোর্ডের সুদক্ষ তত্ত্বাবধানে ।

জাদুঘরের অবকাঠামো :
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রবেশপথের মুখেই রয়েছে ‘ শিখা চির অম্লান । তারকা – আকৃতির একটি বেদির ওপর জ্বলছে অনির্বাণশিখা ।সাক্ষী বাংলার রক্তভেজা মাটি সাক্ষী আকাশের চন্দ্রতারা । ভুলি নাই শহীদদের কোনো স্মৃতি ভুলব না কিছুই আমরা ।দোতলা বিশিষ্ট মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের মধ্যে রয়েছে ছয়টি গ্যালারি।নিচ তলায় তিনটি ও ‘ দোতলায় তিনটি । প্রথম গ্যালারিরনিদর্শনগুলো দুটি পর্বে বিন্যস্ত । প্রথম পর্বে প্রদর্শিত হয়েছে বাংলার হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ।

যেমন– সিলেট অঞ্চলেপ্রাপ্ত ফসিল , পাহাড়পুরের সোমপুর বিহারের মডেল , ভুটান থেকে পাওয়া শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপঙ্করের মূর্তি , বাগেরহাটের বিখ্যাতষাটগম্বুজ মসজিদের মডেলসহ বিভিন্ন মসজিদের টালির নিদর্শন এবং মন্দিরের পোড়ামাটির কারুকাজ।এসবের পাশাপাশিএখানে রয়েছে।নানা সময়ের মুদ্রা , তালপাতার লিপি ও তুলট কাগজে লেখা মনসামঙ্গল কাব্যের অংশবিশেষ। দ্বিতীয় পর্বেপ্রদর্শিত হয়েছে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংগ্রামের চিত্র।

যেমন– নবাব সিরাজউদ্দৌলা যেখানে পরাজিত হয়েছিলেন সেই পলাশীর আম্রকাননের মডেল ; সিরাজউদ্দৌলা , টিপু সুলতান , তিতুমীর , রাজা রামমোহন রায়ের প্রতিকৃতি ; ক্ষুদিরাম , প্রফুল্ল চাকী , যতীন্দ্রনাথ মুখার্জি , মওলানা মোহাম্মদ আলী ও শওকতআলীর ফটোগ্রাফ ।

আরও আছে সিপাহি বিদ্রোহের স্থিরচিত্র , চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের শহিদদের চিত্র , কাজী নজরুলইসলাম সম্পাদিত ‘ ধূমকেতু ‘ পত্রিকার কপি এবং ১৯৪৩ সালের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের— যাকে আমরা ‘ পঞ্চাশের মন্বন্তর ‘ বলি , তার করুণ দৃশ্যের ছবি । দ্বিতীয় গ্যালারিতে তুলে ধরা হয়েছে পাকিস্তান আমলের ইতিহাস । ১৯৫২‘র ভাষা আন্দোলন , ‘৫৪ –রসাধারণ নির্বাচন , ‘৫৮ র সামরিক শাসন , ‘৬২ র সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন , ‘৬৬ র ছয় দফার আন্দোলন , আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা , ‘৬৯ –এর গণ অভূত্থান , ‘৭০ –এর ভয়াবহ জলোচ্ছাস ও নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন দলিল , ছবি ওস্মারক।

তৃতীয় গ্যালারিতে প্রদর্শিত হয়েছে ১৯৭১ সালের অসহযোগ আন্দোলন , ২৫ মার্চ রাতের সংঘটিত গণহত্যা , স্বাধীনতারঘোষণা , প্রাথমিক প্রতিরোধ , প্রবাসী সরকার সংক্রান্ত ছবি ও শরণার্থীদের জীবনচিত্র । দোতলার তিনটি গ্যালারি সাজানোহয়েছে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন তথ্য , প্রমাণ ও চিত্র দিয়ে । প্রথমটিতে ( চতুর্থ গ্যালারি ) রয়েছে , পাকবাহিনীর নিষ্ঠুরতার বিভিন্ন ছবি , শহিদ মুক্তিযোদ্ধা , প্রাথমিক প্রতিরোধ , প্রবাসী সরকার এবং সেক্টর কমান্ডারদের নানা তৎপরতার থ্য ও ছবি।

পরেরটিতে আছেপ্রতিরোধের লড়াই , গেরিলাযুদ্ধ , নৌ – কমান্ডো , বিমানবাহিনী , স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র , মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আন্তর্জাতিকসমর্থন , রাজাকার – দালালদের ভূমিকা এবং সশস্ত্র যুদ্ধের ছবি , স্মারক ও বিবরণ । সবশেষে রয়েছে গণহত্যা , “ হিদ মুক্তিযোদ্ধা, বীরশ্রেষ্ঠ , শহিদ বুদ্ধিজীবী , চূড়ান্ত লড়াই এবং মুক্তিযুদ্ধের বিজয় সম্পৃক্ত বিভিন্ন স্মারক , বিবরণ ও ছবি ।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের কার্যক্রম :
মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাস – ঐতিহ্য সম্পর্কে দেশের মানুষকে সচেতন করতে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনাকরে থাকে । জাদুঘর পরিদর্শনের ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের ছাত্র – ছাত্রীদের জন্য পরিবহন সুবিধাসহ এখানে নানা সুযোগ – সুবিধাপ্রদান করা হয়ে থাকে । দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রদর্শনীর জন্য একটি গাড়িকে ভ্রাম্যমাণ জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়েছে ।

মুক্তিযুদ্ধজাদুঘরের অডিটোরিয়ামে ভিডিও প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমন্ত্রিত দর্শকদের মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয় । উন্মুক্তমঞ্চে আয়োজন করা হয়ে থাকে নানা অনুষ্ঠানের । মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংগৃহীত স্মারক সংখ্যা প্রায় এগার হাজার । মুক্তিযুদ্ধজাদুঘর বিশ্বের আরও আটটি দেশের সমভাবাপন্ন জাদুঘরের সঙ্গে মিলে ‘ ইন্টারন্যাশনাল কোয়ালিশন অব হিস্টরিক মিউজিয়ামঅব কনসান্স ‘ গঠন করেছে।

উপসংহার :
যেকোনো জাদুঘর দেশের ইতিহাস – ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি জনসমক্ষে তুলে ধরার মধ্য দিয়ে অতীত এবং বর্তমানেরমধ্যে সেতুবন্ধন রচনা করে।বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় জাতীয় ইতিহাস ও ঐতিহ্যেরগুরুত্বপূর্ণ স্মৃতি – স্মারক – দলিলপত্রের একমাত্র সংগ্রহশালা।আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সঠিকভাবেজানতে পারে , ভুলে । যায় , সে লক্ষ্যেই মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত হয়ে আসছে।

 

Liberation War Museum Composition 2024

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর রচনা

Liberation War Museum
composition
The most glorious chapter of our national life was written in 1971. On December 16, 1971, an independent sovereign state called Bangladesh appeared on the world map. Bangladesh gained independence through nine months of bloody struggle. Liberation War is the foundation of our political, economic, and cultural existence. The Liberation War Museum has been established with the aim of preserving the glorious history and heritage of our liberation war and introducing the golden history to future generations.

The liberation war museum is now one of the country’s liberation war-related institutions. The journey of the Liberation War Museum started on March 22, 1996, in a rented house in Segunbagicha. It was a purely personal initiative. Currently, it is located in Agargaon, Dhaka. Now the collection of the museum has more than 17,000 artifacts, weapons, documents, letters, etc., used by freedom fighters and martyrs.

And the nine-story building of the Liberation Museum has been built at a cost of 102 crore rupees. Building underground. Three floors have car parking, an archive, a laboratory, an exhibition hall, etc. Museum office and auditorium on the ground floor. On the first floor, there are bronze sculptures of Shikha Amlan, Bangabandhu, and four national leaders, an open-air, canteen, a souvenir sales center, and a ticket counter. There is also a helicopter and an airplane attached to the roof. They were used in the liberation war. The second floor houses the research center and library. There are four main showrooms on the third and fourth floors.

International Exhibition Hall on the 5th floor. The name of the first exhibition hall is ‘Our Heritage, Our Struggle’. In this exhibition hall, features of the topography, history, and culture of the country from prehistoric times to the anti-British movement, the national language movement, and the general elections of 1970 have been highlighted. Fossils, ancient terracotta, pottery, and rock fragments along with various types of artifacts are accompanied by photographs of historical events and people. The second exhibition hall is called ‘Our Rights, Our Sacrifice’. From this room, visitors will directly enter the episode of the Great War of Liberation.

As soon as you enter, you will see a huge black-and-white picture. A huge gathering of countless people at the Race Course Maidan demanding freedom, the picture was taken on January 3, 1970, by a photographer named Shukkur Mia. The camera with which the scene was captured is also below the image. Here is the picture of Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman’s historic speech on 7th March. In one part of this gallery, the night massacre of March 25, 1971, is depicted through a beautiful installation.

The Pakistani army launched a surprise attack with tanks, artillery, and armored vehicles on sleeping Bengalis in Dhaka under the name of Operation Searchlight. The next two showrooms are on the fourth floor. The first of these is titled ‘Our War, Our Ally’. Here is a large-scale digital print of the life of refugees sheltered in India, published in foreign media. The training of freedom fighters, division into different sectors, and activities of razakars, are shelters for guerilla warfare of freedom fighters. Along with this, there are those aspects of the local and foreign people who have helped in various ways and created public opinion in favor of our liberation war.

There is George Harrison’s handwritten manuscript of the ‘Concert for Bangladesh’ song organized in the United States by Pandit Ravi Shankar, staff notation of the tune. The last showroom is named ‘Our Victory, Our Values’. It has various relics of naval battles, railway station railings of the Battle of Bilenia, trolleys, attacks by Allied forces, burnt houses, etc. Ended with a copy of the first constitution of independent Bangladesh in 1972. The Liberation War Museum conducts various activities to make the people of the country aware of the glorious history and heritage of the Liberation War of Bangladesh.

The management of the museum conducts programs involving school-college student transport and visiting facilities. Besides, a car has been converted into a mobile museum, where exhibitions are organized in different parts of the country. A small exhibition is also open in the Liberation War Museum. Various exhibitions and programs are organized here. The Liberation War Museum has formed the ‘International Coalition of Historic Museums of Consensus’ along with similar museums from eight other countries of the world.

The museum’s collection of memorabilia is more than ten thousand. . The aim of the Liberation War Museum is to properly preserve and display the memories of the Liberation War of Bangladesh and our glorious national history and heritage. Museums bridge the gap between past and present by presenting the country’s history, heritage, and culture to the public. The Liberation War Museum is not a multi-dimensional museum, but the only and one of the most important collections of the national life history of Bangladesh. The main goal of the Liberation War Museum is that our future generations should not forget the history of the Liberation War and know its true history.

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে EducationsinBD.com এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group

Leave a Reply