বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারি পরিচালক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার সাজেসন্স 2023
বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারি পরিচালক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার সাজেসন্স 2023 দেখুন, সব কিছু বলার আগে একটা হিসাব দেখাই বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিসার রিটেন নিয়ে। এরপর কথা বলি এডির টা নিয়ে।
আমার কাছের একজন ৫ ম্যাথ নিয়ে ৯৯/১০০ তম। আমি ৪ ম্যাথে ৬৭ তম এবং আমার আরেকজন পরিচিত ৩ ম্যাথ ৩৫ তম। এটা আসলে কীভাবে হয়, বলুন তো?
আমি বলছি না এই কথাগুলোই সত্য কিংবা অন্য কোনো উপায় নেই। কিন্তু আপনি যদি কিছুটা স্ট্রাটেজিক হোন, তাহলে কিন্তু রিটেনে আপনি ভালো করতে বাধ্য।
প্রথমেই দেখা যাক, ম্যাথে কী করতে হবে। আগেই লক্ষ্য করতে হবে ম্যাথ কয়টা দিয়েছে। ৫ টা নাকি ৭ টা নাকি অন্য কোনো ভাবে। যাই হোক, যতটা ম্যাথ দিক না কেন, অতীতের প্রশ্ন ঘেটে দেখলে দেখবেন ৬০% ম্যাথ বা ৫ টার মধ্যে ৩ টা ম্যাথ একেবারে সহজ, যা ঠান্ডা মাথায় ১৫ মিনিটে করা যায়। এই জায়গাতে কোনো ভাবেই সময় নষ্ট করা যাবে না। যাবে না মানে যাবেনা। অনেককেই দেখি, বেশি সতর্ক হতে গিয়ে এখানে অনেক সময় নষ্ট করতে। তাই বাসায় বসে এক্সাম দিন নিয়মিত। বাকি ম্যাথ নিয়ে ভাবা যাবে পরে।
যদি ৫০ মার্ক ম্যাথ এ থাকে, তাহলে ১৫০ থাকবে রিটেন। এখানে একটা বিশাল খেলা আছে। খেলাটা কী? চলুন আলোচনা করা যাক।
বেশির ভাগ ক্যান্ডিডেট গতানুগতিক ভাবে লিখে থাকে এই খানে। দেখবেন এক্সাম দিয়ে এসেই অনেকে পোস্ট করবে ৪ ম্যাথ আর গতানুগতিক লিখা তে কি কোনো আশা আছে? তাই একটু চিন্তা করুন।
১। কম্প্রিহেনশন এ সুন্দর বাক্য এবং আবেদন পত্রে ঠিক ফরম্যাট ব্যবহার করলে আপনি ৮০% মার্ক ও পেতে পারেন। তবে এখানে লিখার ধরন নিয়ে কিছু কথা না বললেই নয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েব সাইটে যান। অনেক সার্কুলার লেটার পাবেন সেখানেই শব্দ চয়নের ধরণ টা বুঝতে পারবেন। আর এই নিয়ে অনেক ক্লাসে অনেক কিছু বলেছি। আর বলতে ভালো লাগে না। এই দুইটি টপিকে ২০ মিনিটের বেশি না প্লিজ।
২। অনুবাদ নিয়ে একটা কথা বলি। চার টা জিনিস দেখে যান। অনেক কাজে লাগবে। এগুলো হলো দেশের যে সৌন্দর্য্য আছে এই সম্পর্কিত শব্দ, পিউর অর্থনীতি নিয়ে শব্দ, দর্শন নিয়ে শব্দ, আর আমাদের দেশের জলবায়ু সম্পর্কিত শব্দ। বিশ্বাস করেন ভাই, কাজে লাগবেই। কিভাবে লাগবে, কেন লাগবে, জিজ্ঞেস করবেন না। আমি বলছি কাজে লাগবে। বিশ্বাস হলে পড়েন। ঘড়ি ধরে ২০ মিনিটে ২ টি অনুবাদ সমাধান করার ট্রাই করুন। আপনার এক ঘন্টা কিন্তু শেষ।
আর আছে কত ঘন্টা? মাত্র ১ ঘন্টা। ৫ মিনিট বাদ দিলাম।
বাসায় বসে ২৫ মিনিটে মত চার পেজ লিখার প্রাক্টিস করুন। ২ পেজ ইংরেজিতে এবং বাকি দুই পেজ বাংলায়। যাই লিখেন না কেন, প্রতি পেজে যেন কম করে হলেও ৭/৮ টা ডাটা পাওয়া যায় এবং ইংরেজিতে লিখার সময় ১ টি ও বাংলায় লিখার সময় ১ টি গ্রাফ আকবেন। আর হাতে আছে কতক্ষন?
মাত্র ৩৫ মিনিট।
তবে এখানে লক্ষ্য করুন, যদি শর্ট নোট দেয় তাহলে এই স্ট্রাটেজি। তাহলে বাকি ৩৫ মিনিটের মধ্যে ২০ মিনিট শর্ট নোট এবং বাকি ১৫ মিনিটে আরেকটা ম্যাথ করার ট্রাই করবেন। তবে আগেই দেখবেন ম্যাথ ট্রাই করলে পারবেন কিনা। যদি পারবেন মনে হয়, তাহলে করবেন। না পারলে এই সময়টা ফোকাস রাইটিং শর্ট নোটে দেবেন।
ব্যাপার টা হলো ৫ম্যাথে ৫ টাই পারতে হবে এমন না। আগে বুঝে নিন কয়টি পারবেন। যে কয়টি পারবেন করে ফেলুন। বাকি সময় না ভেবে আপনি এই সময় টা ফোকাস কিংবা শর্ট নোটে কাজে লাগান। মার্ক বাড়বে। প্রথমে যে বলেছিলাম তিনজন ক্যান্ডিডেটের কথা। তাদের ক্ষেত্রে কী হয়েছে, এবার নিজে থেকে বুঝে নিন। আমার আর কিছুই বলার নাই।
Achilice Barnad
বাংলাদেশ ব্যাংক