ক্যাম্পাসক্যারিয়ার

জাপানে উচ্চশিক্ষা: জাপানে বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি আবেদন তথ্য 2022

জাপানে উচ্চশিক্ষা: জাপানে বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি আবেদন তথ্য 2022 Higher Education in Japan: Direct Application Information to Universities in Japan 2022

 

অনার্স (স্নাতক) কোর্সের জন্য আবেদন 

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে প্রতিবছর অনেক শিক্ষার্থী জাপানে স্নাতক পর্যায়ে পড়তে যান। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ করেই জাপানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি আবেদন করা যায়।’ বাংলাদেশে অবস্থিত জাপানের দূতাবাসের মাধ্যমে আবেদন করা যায়। জাপানের বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও বৃত্তির সুযোগ আছে।

 

বৃত্তির সুযোগ 

মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ে বৃত্তির পরিমাণ তুলনামূলক বেশি। জনপ্রিয় বৃত্তিগুলোর মধ্যে মেক্সট বৃত্তি উল্লেখযোগ্য। গবেষণার মাধ্যমে অন্যান্য দেশের সঙ্গে জাপানের বন্ধুত্ব বিকাশের জন্য এ বৃত্তি দেওয়া হয়। এই কর্মসূচির অধীন বৃত্তিপ্রাপ্তদের শিক্ষার্থীদের কোনো টিউশন ফি বা ভর্তি ফি দিতে হয় না। থাকা–খাওয়ার খরচ, আসা-যাওয়ার বিমানভাড়াও বৃত্তির অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া জাপানের “এডিবি-জাপান স্কলারশিপ প্রোগ্রাম”–এ শিক্ষার্থীরা টিউশন ফি ছাড়া পড়ার সুযোগ পান। জীবনধারণ, বাড়িভাড়াসহ আনুষঙ্গিক খরচ, বই এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার খরচ, চিকিৎসা বিমা, ভ্রমণের খরচ—সবই থাকে বৃত্তির আওতায়। আরেকটি জনপ্রিয় বৃত্তি হলো জাপান-বিশ্বব্যাংক বৃত্তি। এর মাধ্যমে মাস্টার্স, পিএইচডি ডিগ্রিসহ নানা প্রশিক্ষণের সুযোগ থাকে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল ও কাজের জন্য নানা ধরনের বৃত্তি ও আর্থিক প্রণোদনা পান।

 

বৃত্তির জন্য কি যোগ্যতা লাগে?

 

জাপানের পড়াশোনার পরিবেশ প্রতিযোগিতামূলক ও সৃজনশীল। জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরে দুই সেমিস্টারে বিভিন্ন বৃত্তি ও ফেলোশিপ নিয়ে ভর্তি হওয়া যায়। বৃত্তি পেতে হলে ভালো স্কোর থাকতে হবে, গবেষণা ও উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী হতে হবে। মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ে পড়ার জন্য পরিশ্রম করার মানসিকতা থাকতে হবে। বৃত্তির জন্য বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সনদপত্রের পাশাপাশি “স্টেটমেন্ট অব পারপাস” গবেষণা করতে কেন আগ্রহী—এসব নিয়ে অনুচ্ছেদ লিখতে হয়। এছাড়া আগের গবেষণার অভিজ্ঞতা, বিভিন্ন সামাজিক কাজে অংশগ্রহণের সনদও গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হয়।

 

বৃত্তি ছাড়া পড়তে চাইলে খরচ কত হবে?

 

জাপানের পড়াশোনার জন্য টিউশন ফি একেক বিশ্ববিদ্যালয়ে একেক রকম। বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯ হাজার ডলার থেকে ফি শুরু হয়। বেসরকারি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরে ন্যূনতম ৮ হাজার ডলার ফি নেওয়া হয়। জাপানে বৃত্তি ছাড়া পড়ারও সুযোগ আছে। সে ক্ষেত্রে স্বাভাবিক খরচের সঙ্গে প্রতি সেমিস্টারে ৫ লাখ ৩২ হাজার ইয়েনের (প্রায় ৩ লাখ ৭৮ হাজার টাকা) মতো ফি যুক্ত হয়।

 

পড়ালেখার পাশাপাশি কাজ করার সুযোগ আছে কি?

 

জাপানি ভাষা জানলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করা সহজ হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গবেষণাগার ও সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে কাজের সুযোগ থাকে। জাপানে কাজের পরিবেশ অনেক পেশাদার। সময়ানুবর্তিতা ও পেশাদার আচরণ সব সময় গুরুত্ব পায়। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে সাধারণত ২৮ ঘণ্টার মতো কাজের সুযোগ পান।

 

জাপানে পড়ালেখা করে সে দেশে চাকরির সুযোগ পাবো?

 

জাপানে উচ্চশিক্ষা শেষে বাংলাদেশের শিক্ষার্থী বা গবেষকদের জাপানে চাকরির নানা সুযোগ আছে। জাপানি ভাষা জানলে সুযোগ বেশি। বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোয় কাজ করতে পারেন। আর্থিক প্রতিষ্ঠান, গবেষণাগার, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানেও কাজ করেন অনেকে। জাপানি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গবেষণাগারে বাংলাদেশিরা যোগ দিচ্ছেন। আবার অনেক শিক্ষার্থী সনি, টয়োটা, হিটাচিসহ নামী প্রতিষ্ঠানেও চাকরি করেন। জাপান থেকে সরাসরি ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠানে চাকরি নিয়ে যাচ্ছেন অনেক শিক্ষার্থী।

 

জাপানি ভাষা শেখার গুরুত্ব কিরকম?

 

জাপানি ভাষা জানলে স্বাভাবিকভাবেই সুযোগ বেশি পাওয়া যায়। স্নাতক পড়ার সময় জাপানি ভাষা জানতে হবে। মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ে ইংরেজি ভাষায় পাঠ্যক্রম থাকার কারণে জাপানি ভাষা না জানলেও খুব একটা সমস্যায় পড়তে হয় না। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জাপানি ভাষা শেখার সুযোগ অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেই থাকে।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে EducationsinBD.com এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group

Leave a Reply