শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন কাল
করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার মেয়াদ আবারো বাড়ানো হচ্ছে কিনা তা নিয়ে ভার্চুয়াল সম্মেলনে আসছেন শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা বা নতুন করে ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি প্রেস ব্রিফিং করবেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন- জানুয়ারিতে ক্লাস শুরুর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির ভার্চুয়াল সম্মেলনের বিষয়টি নিশ্চিত করে আজ বুধবার (১১ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ ও তথ্য কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা বা নতুন করে ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সাংবাদিকদের কাছে নতুন সিদ্ধান্তের বিষয়টি তুলে ধরবেন।
এদিকে, সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুই সপ্তাহ ছুটি বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে বলেন, আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সিলেবাস শেষ করতে দেশের কিছুসংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া যায় কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কিছুসংখ্যক বিদ্যালয় খুলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেখানে আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সিলেবাস সম্পন্ন করা হবে।
সিলেবাস শেষ হলে তাদের একটি টেস্ট পরীক্ষা নেয়া হবে। সে পরীক্ষার পর পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে যাদের আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে তারা মূল পরীক্ষায় অংশ নেবে। কেউ না চাইলে পরবর্তী বছরের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর এ ভাইরাসের বিস্তার রোধে ১৮ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। কয়েক দফায় সেই ছুটির মেয়াদ বাড়িয়ে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত করা হয়। বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার পর ওই দিনই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
আরো পড়ুন- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সরকারের উপর চাপ বাড়ছে
এদিকে করোনার বাস্তবতায় দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীর পড়াশোনা অত্যন্ত ঝুঁকিতে পড়েছে। বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বলছে, দেশের মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে পড়ে প্রায় পৌনে দুই কোটি ছেলেমেয়ে। আর মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা সোয়া কোটির কিছু বেশি। বাকিরা অন্যান্য স্তরে পড়ছেন।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বাতিল হয়েছে চলতি বছরের প্রাথমিক সমাপনী, জেএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা।অন্যদিকে আটকে আছে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষাও। ফলে এ নিয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরাও দুশ্চিন্তায়। অবস্থার খুব একটা উন্নতি না হলে কোন পরীক্ষা আয়োজন করতে চায়না শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এমন পরিস্থিতিতে স্কুল-কলেজও খুলতে চায়না শিক্ষা মন্ত্রণালয়।