পেট ব্যথা কমানোর ঘরোয়া প্রতিকার বা পেট খারাপের ঘরোয়া প্রতিকার
পেট ব্যথা কমানোর ঘরোয়া প্রতিকার বা পেট খারাপের ঘরোয়া প্রতিকার নিয়ে আজকে আলোচনা করা হবে।
জেনে নিন পেট এর ব্যথা কমানোর কিছু প্রাকৃতিক সমাধান—
কাচা আদা বা আদা চা
আদা ব্যথা কমাতে এবং বমি ভাব দূর করতে আদাকে প্রকৃতিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এতে অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি ও প্রদাহ বিরোধী গুণ থাকায় এটি ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। পেট ব্যথা কমাতে আদা চা পান করতে পারেন।
কলা এবং আপেল
কলা ও আপেলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। আর এ কারণে এগুলো পেটের ব্যথা কমাতে সহায়তা করতে পারে। এ ছাড়া এটি বমি ভাব ও ডায়রিয়াতেও ভাল কাজ করে।
ভাত
পেটে ব্যথা হলে ভারি ও বেশি মশলা জাতীয় খাবার পরিহার করে একটু নরম করে ভাত খেতে পারেন। আর চেষ্টা করবেন এর সঙ্গে একটু হালকা ও পাতলা জাতীয় কিছু খেতে।
টোস্ট বিস্কুট
টোস্ট বিস্কুট বা ওভারকুক করা রুটি পেট ব্যথা কমাতে সহায়তা করতে পারে। এতে তেমন কোনো তেল থাকে না।
পুদিনা পাতা
এটির প্রকৃতিক ব্যথানাশক বৈশিষ্ট রয়েছে। তাই পেট ব্যথা কমানোর প্রাকৃতিক সমাধাণ হিসেবে চায়ের সঙ্গে বা চিবিয়ে পুদিনা পাতা খেতে পারেন।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার
অ্যাপেল সিডার ভিনেগারে অ্যাসিড স্টার্চ থাকায় তা হজম করতে সাহায্য করে। এর জন্য এক কাপ পানিতে এক চামুচ অ্যাপল সিডার ভিনেগার ও এক চামুচ মধু মিশিয়ে পান করলে উপকার পাবেন।
হিটিং প্যাড বা গরম পানির সেঁক
পেটের ব্যথা কমাতে পেটে হালকা গরম করার মতো হিটিং প্যাড ব্যবহার করতে পারেন। গরম পানির ব্যাগ বা বোতলে হালকা গরম পানি নিয়ে পেটে ধরে রাখলেই অনেকটা স্বস্তি পাবেন।
হলুদ
হলুদের মধ্যে রয়েছে কারকিউমিন। এটি প্রদাহ কমাতে কাজ করে; পরিপাক ভালো করতে সাহায্য করে।
এক গ্লাস বা দুই গ্লাস পানির মধ্যে হলুদ দিয়ে গরম করুন। দিনে দুইবার এটি পান করুন।
এ ছাড়া ৪০০ থেকে ৬০০ মিলিগ্রাম কারকিউমিন সাপ্লিমেন্ট দিনে তিনবার খেতে পারেন।
তবে যেকোনো ওষুধ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।