এইচএসসি পরীক্ষার সম্ভাব্য সময় জানালেন পরামর্শ কমিটির সভাপতি
পরিস্থিতি সাপেক্ষে নভেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানা গেছে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে নভেম্বরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেয়া যেতে পারে একথা নিশ্চিত করেছেন জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ। ডিবিসি নিউজে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
এইচএসসি পরীক্ষার ব্যাপারে পরামর্শ কমিটির সভাপতি বলেন, পরীক্ষা যে নভেম্বরে হবেই এমন বলা হচ্ছে না। যদি নভেম্বরে স্বাস্থ্যবিধির যে চ্যালেঞ্জগুলো আছে, সেগুলো নিশ্চিত করা যায়। তাহলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় যে তারিখটা দিবে সেটা নভেম্বরে হতে পারে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কথা এখন চিন্তাই করা যাবে না, যতদিন পর্যন্ত না পরিস্থিতির উন্নতি না হয়।
আরো পড়ুন- স্বাস্থ্যবিধি মেনে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হতে পারে নভেম্বরে
করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে নভেম্বরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেয়া যেতে পারে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে এমন সুপারিশ করেছে করোনা মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি। ডিবিসি নিউজকে টেলিফোনে একথা নিশ্চিত করেছেন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
এদিকে করোনার কারণে আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি। দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকায় কখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে এবং কখন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকায় কখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে এবং কখন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি এখনও। পরীক্ষা নেবার উপযুক্ত পরিস্থিতি হলে তখন পরীক্ষা নেয়া হবে এবং তারিখ গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে। উপযুক্ত পরিবেশ বিরাজমান হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ও সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আরো পড়ুন- এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না: শিক্ষা মন্ত্রণালয়
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নামে ভুয়া ফেসবুকে পেইজ ও প্রোফাইল খুলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া ও এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন কাল্পনিক তারিখ ঘোষণা করে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এ বিষয়ে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সহযোগিতাও কামনা করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের কারণে অষ্টম শ্রেণির ২০২০ সালের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা বাতিল করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর আগে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী (ইইসি) পরীক্ষা বাতিল করা হয়। এসব পরীক্ষার বাতিল হলেও স্কুলের মূল্যায়নের ভিত্তিতে প্রমোশন পাবে শিক্ষার্থীরা। এজন্য কেন্দ্রীয় ভাবে পরীক্ষা না হলেও অনুষ্ঠিত হতে পারে বার্ষিক পরীক্ষা।