পরীক্ষা খবরশিক্ষা নিউজ

উচ্চতর গণিত ১ম পত্র সমাধান ২০২৪ pdf HSC higher Math 1st paper solution

উচ্চতর গণিত ১ম পত্র সমাধান ২০২৪ pdf HSC higher Math 1st paper solution | s u ahmed math 1st paper book solution pdf download | উচ্চতর গণিত ১ম পত্র সমাধান এস ইউ আহাম্মদ

টর্ট আইন

উচ্চতর গণিত ১ম পত্র সমাধান ২০২৪ pdf ডাউনলোড

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও জেএসসি পরীক্ষা এ বছরও হচ্ছে নাচ।লতি বছরের ৫ম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পিইসি ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা বাতিল করা হচ্ছে। ২০২২ সালের পিইসি-ইবতেদায়ী পরীক্ষা বাতিলের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পেলে এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা দেওয়া হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান আজ সোমবার এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তাঁরা শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। সুতরাং এ বছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা হবে না।

গতবারের মতো এবারও হচ্ছে না ৫ম শ্রেণির ‘প্রাথমিক শিক্ষাসমাপনী’ বা পিইসি, ৮ম শ্রেণির ‘জুনিয়র সার্টিফিকেট (জেএসসি)’ ও সমমানের পরীক্ষা। কোন প্রক্রিয়ায় ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা মূল্যায়নের মাধ্যমে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে উন্নীত হবে তা ইতিমধ্যে প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আর অষ্টম শ্রেণির মূল্যায়ন হবে স্কুলের স্বাভাবিক বার্ষিক পরীক্ষার আদলে—এমনটি জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিটি বিষয়ে বার্ষিক পরীক্ষা হবে ৬০ নম্বরে। আর ক্লাস টেস্ট থেকে ৪০ শতাংশ নম্বর যুক্ত হবে।

প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মোট ১০০ নম্বরের পাঁচটি বিষয়ে বার্ষিক মূল্যায়ন হবে। এই ১০০ নম্বর থেকে ৪০ শতাংশ নম্বর এবং তৃতীয় প্রান্তিক পরীক্ষার ৬০ নম্বরের সঙ্গে যুক্ত করে মূল্যায়ন করা হবে।

কবে ৫ম শ্রেণির এই বার্ষিক পরীক্ষা হবে এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরেরর পরিচালক (পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন) ড. উত্তম কুমার দাস বলেন, পরীক্ষার তারিখ আমরা নির্ধারণ করে দেব। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এই পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণের চিন্তা আমাদের রয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী, বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এবং ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এ পাঁচটি বিষয়ের ওপর প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হবে। প্রতিটি বিষয়ের কমপক্ষে পাঁচটি শ্রেণি পরীক্ষা নিতে হবে শিক্ষকদের। প্রতিটি শ্রেণি পরীক্ষার নম্বর হবে ২০। এ পাঁচটি শ্রেণি পরীক্ষার প্রাপ্ত মোট নম্বরের ৪০ শতাংশ ও তৃতীয় প্রান্তিক পরীক্ষার ৬০ নম্বর—মোট ১০০ নম্বরে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক মূল্যায়ন হবে। এভাবে শিক্ষার্থীদের অগ্রগতির সমন্বিত প্রতিবেদন তৈরি করতে হবে শিক্ষকদের। এরপর বিদ্যালয় অভিভাবকদের হাতে ফল তুলে দেবে।

শিক্ষামন্ত্রী  বলেন, আগামী বছর থেকে নতুন কারিকুলাম শুরু হবে। অষ্টম শ্রেণি পর্যায়ে শুরু হবে ২০২৪ সালে। ফলে আগামী বছরও পরীক্ষা নেওয়া হবে না।

আরো পড়ুন- পরীক্ষা ছাড়াই সার্টিফিকেট পাবেন ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা

এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, শুরু থেকে আমরা পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে ছিলাম। কিন্তু অষ্টম শ্রেণির জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় বর্তমানে পঞ্চম শ্রেণির পিইসি ও ইবতেদায়ি পরীক্ষা নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাবনা হিসেবে সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়েছে। তিনি সম্মতি দিলে পরীক্ষা বাতিল করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চম শ্রেণির পিইসি ও ইবতেদায়ি পরীক্ষা বাতিল করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাবের সার-সংক্ষেপ পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষা বাতিলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া হতে পারে।

পিইসি-ইইসি পরীক্ষা বাতিলেএ প্রস্তাবে বলা হয়েছে- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ২০০৯ সাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা গ্রহণ প্রচলন করা হয়। শিক্ষাবর্ষের শেষে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত কারণে ২০২০ সলের ১৮ মার্চ থেকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। গত ৫ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শ্রেণিকক্ষে সীমিত আকারে পাঠদান কার্যক্রম পুনরায় চালু করা হয়েছে।

সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনে ‘ঘরে বসে শিখি’ শিরোনামে পাঠদান কার্যক্রম সম্প্রচার করা হচ্ছে। বাংলাদেশ বেতারের মাধ্যমেও পাঠদান সম্প্রচার করা হচ্ছে। পাঠ্যপুস্তকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ওয়ার্কশিট প্রণয়ন করে শিক্ষার্থীদের কাছে বিতরণ করা হয়। শিক্ষকরা গুগল-মিট অ্যাপের মাধ্যমে পাঠদান করেন। হোম ভিজিটের মাধ্যমে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের পাঠদানে সহায়তা করেন এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে পাঠদান বিষয়ে যোগাযোগ করেন। শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণের জন্য প্রণীত এক্সিলেন্ট রিমিডিয়াল লার্নিং পরিকল্পনা অনুযায়ী শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে সরাসরি পাঠদান করছেন। সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ গ্রহণ করে কোভিডকালে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হচ্ছে।

এতে বলা হয়, শ্রেণিকক্ষে শিখন-শেখানো কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় যে, শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণের জন্য প্রণীত পরিকল্পনা শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ২০২১ শিক্ষাবর্ষের মাত্র ২/৩ মাস অবশিষ্ট আছে। এই অল্প সময়ের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি ও মুদ্রণ, দেশব্যাপী একযোগে এই পরীক্ষা পরিচালনা করা এবং নির্ধারিত সময়ে ফল প্রকাশ করা কষ্টসাধ্য হবে। ভাইরাস সংক্রমণজনিত পরিস্থিতির কারণে ২০২০ শিক্ষাবর্ষের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা এবং ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।

কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বল্প সময়ের মধ্যে ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা সম্পন্ন করা এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে না। উল্লেখ্য, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অনুরোধে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দ্বারা শুধুমাত্র ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা পরিচালনা করা হয়।

প্রস্তাবে আরও বলা হয়, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এবং শ্রেণিকক্ষে শিখন-শেখানো কার্যক্রম বিবেচনাক্রমে ২০২১ শিক্ষাবর্ষের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা গ্রহণের পরিবর্তে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মূল্যায়ন করে তাদেরকে পরবর্তী শ্রেণিতে উন্নীতকরণের কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে।

জানা গেছে, করোনার কারণে অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি দেড় বছর বন্ধ ছিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। শেষ করা সম্ভব হয়নি পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়মিত সিলেবাস। এ কারণে বাতিল হতে পারে পাবলিক পরীক্ষার আদলে হওয়া চলতি বছরের পিইসি ও ইবতেদায়ি পরীক্ষা। সাময়িক পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট দেওয়ার চিন্তা করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

জানা যায়, গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সীমিত পরিসরে স্কুল-কলেজে পাঠদান শুরু হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতিদিন সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শিখন জ্ঞান অর্জনে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) তত্ত্বাবধানে তিন মাসের একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করে তা পড়ানো হচ্ছে। অন্য ক্লাসের শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে একদিন ও দুদিন করে ক্লাস নেওয়া হলেও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে ছয়দিন দুটি বিষয়ের ক্লাস করানো হচ্ছে।

সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি চলতি বছরের জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা বাতিল করায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ও বোর্ড পরীক্ষা নেওয়ার চিন্তা-ভাবনা থেকে সরে এসেছে। বার্ষিক বা সাময়িক পরীক্ষা নিয়ে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা চলছে।

এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, পঞ্চম শ্রেণির পাবলিক পরীক্ষা না নিলেও সিলেবাস শেষ হলে নিজ নিজ ক্লাসে সাময়িক পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন করে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। সেই সার্টিফিকেট নিয়ে শিক্ষার্থীরা ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হবে। অষ্টম শ্রেণির পাবলিক পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় পঞ্চম শ্রেণির পরীক্ষা বাতিলে বিভিন্ন মহল থেকে আমাদের ওপর চাপ আসছে। সব দিক বিবেচনা করে পরীক্ষা বাতিলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা কাউকে অটোপাস দিতে চাই না, ন্যূনতম পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন করে শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট দিতে চাই। অন্যথায় অটোপাস দেওয়া হলে সমাজে এক ধরনের নেতিবাচক প্রভাব তৈরি হয়। শিক্ষার্থীদের নানাভাবে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে EducationsinBD.com এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *