জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়রেজাল্ট

ফলাফলের সঠিক মূল্যায়নের দাবিতে আবারও অনার্স ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯ সালর অনার্স ৪র্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার ফল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছেন ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের অনার্স ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে বিক্ষোভ করেন তারা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ভালো পরীক্ষা দেয়া সত্ত্বেও দায়সাড়া ভাবে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করায় বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে। এছাড়াও উক্ত শিক্ষাবর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা ২০১৯ সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও দুই বছর দেরীতে ২০২১সালে শেষ হয়। চার বছরের বিপরীতে ছয় বছর লেগে যাওয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা অনেক পিছিয়ে পড়েছে এবং চাকরির পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা আরো জানায়, স্বশরীরে পরীক্ষায় অংশ নিলেও অনেক শিক্ষার্থীকে অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী চতুর্থ বর্ষের ১০টি কোর্সের মধ্যে ৯টিতে প্রথম শ্রেণী পেলেও তুলনামূলক সহজ বিষয়ে অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে। যা হতাশাজনক ও লজ্জাদায়ক। আশানুরূপ ফলাফল না আসায় শিক্ষার্থীদের মাঝে অসন্তোষের সৃষ্টি হওয়ায় তারা এ ফলাফল মেনে নিতে পারছেন না।

এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান বলেন, তাদের খাতা পুনঃনিরীক্ষণ না করে কিছু বলা যাচ্ছে না। আমরা সিস্টেমের বাইরে যেতে পারি না। খাতা দেখবো তারপর সিদ্ধান্ত নেবো। এর আগে কোন আন্দোলন করে লাভ হবে না।

জানা গেছে, ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) চতুর্থ বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ২০ জুলাই ২০২১ তারিখে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ফলাফলে ৭২ শতাংশ শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয় এবং বাকি ২৮ শতাংশ অকৃতকার্য হয় । অকৃতকার্য শিক্ষার্থী ফলাফল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে । ফলাফলে ২৪ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে এক বিষয়ে অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে।

এর আগেও দুই বার অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার ফলফলের সঠিক মূল্যায়নের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের চতুর্থ বর্ষের অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯ সালের স্নাতক (সম্মান) চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফল সঠিক মূল্যায়নের দাবি করেছে শিক্ষার্থীরা৷ এসময় তারা আগামী এক মাসের মধ্যে পরীক্ষার সঠিক ফলাফল ঘোষণার দাবি জানায়।

এ ব্যাপারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান জানান, শতকরা ২৮ ভাগ ফেল করার বিষয়টি সঠিক নয়। কারণ এখানে অন্তত ১০ ভাগ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে কলেজগুলো খোলা হলে দ্রুততম সময়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আর নিজ নিজ কেন্দ্রে পরীক্ষার খাতা পাঠানোর কোনো নিয়ম নেই। পরীক্ষার খাতার মধ্যে পরীক্ষার্থীর নাম ও কলেজের নাম লেখা থাকে না।

এর আগে এ ব্যাপারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মশিউর রহমান বলেন, যেহেতু শিক্ষকদের মূল্যায়নের ভিত্তিতে পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশ করা হয়েছে সেহেতু তা পরিবর্তনের সুযোগ নেই।

উল্লেখ্য , গত ২০ জুলাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯ সালের অনার্স চতুর্থ বর্ষ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। অনার্স ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষায় মােট ৬৭৬ (ছয়শত ছিয়াত্তর) টি কলেজের ২,১৪,৮৪৪ (দুই লক্ষ চৌদ্দ হাজার আটশত চুয়াল্লিশ) জন পরীক্ষার্থী ৩০ টি বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এবার গড় পাশের হার ৭২ শতাংশ।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে EducationsinBD.com এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *