শিক্ষা নিউজ

ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ জেলাভিত্তিক নিয়োগযোগ্য শূন্য পদের পরিসংখ্যান তালিকা Trainee Recruit Constable (TRC) Recruitment District Wise Recruitment Vacancy Statistics List

Trainee Recruit Constable (TRC) Recruitment, December 2022 – District Wise Recruitment Vacancy Statistics List  ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ, ডিসেম্বর ২০২২ – জেলাভিত্তিক নিয়োগযোগ্য শূন্য পদের পরিসংখ্যান List of district-wise vacancies for trainee recruit constable posts। ৫৫০০ পদে বাংলাদেশ পুলিশ (কনস্টেবল) এর নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও জেলাভিত্তিক শূন্য পদের তালিকা প্রকাশ বাংলাদেশ পুলিশ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।বিজ্ঞপ্তি অনুসারে পদটির যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে যোগ দিতে পারেন আপনিও। অনলাইনে পদটির জন্য আবেদন শুরু ০২-১২-২০২২ থেকে । আবেদন করা যাবে ২৮-১২-২০২২ পর্যন্ত।

ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ জেলাভিত্তিক নিয়োগযোগ্য শূন্য পদের পরিসংখ্যান তালিকা Trainee Recruit Constable (TRC) Recruitment District Wise Recruitment Vacancy Statistics List

ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ জেলাভিত্তিক নিয়োগযোগ্য শূন্য পদের পরিসংখ্যান তালিকা Trainee Recruit Constable (TRC) Recruitment District Wise Recruitment Vacancy Statistics List

 

সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা চাই দাবি শিক্ষার্থীদের । করোনার প্রার্দুভাবের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কয়েক দফায় এ ছুটি বাড়িয়ে সর্বশেষ আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ রেখেছে সরকার। এর মধ্যে দেশের সবকিছু স্বাভাবিক হওয়ায় উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এজন্য ফেসবুকে ‘সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা চাই’ নামে একটি গ্রুপও খুলেছেন। সেখানে তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‍খুলে দেয়ার পক্ষে তাদের যুক্তি তুলে ধরে মতামত প্রকাশ করছেন।

এডুকেশনস ইন বিডি পাঠকদের জন্য নিম্নে কিছু মতামত তুলে ধরা হল।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষার্থী সিদরাতুল মুনতাহা প্রান্ত বলেন, দীর্ঘ ৫ মাস না আর কিছুদিন পর ৬ মাস হবে। এত্তোদিন পর্যন্ত আমরা দেখেছি দেশের স্বাস্থ্যবিধি কতটা বজায় রেখেছে এদেশের মানুষ।যেখানে আজ গণপরিবহন খোলা,চায়ের দোকানে আড্ডা চলে,বাজারে হাজারো মানুষের সরাগম,অফিস-আদালত যেখানে আজ উন্মুক্ত;সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে রাখাটা বোকামি নয় কি??করোনা পরিস্থিতি যদি আজ ২-৩ বছরে স্বাভাবিক অবস্থায় না আসে আমরা কি ততোদিন পর্যন্ত এভাবে বছরের পর বছর সময় পার করবো?

সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা চাই দাবি শিক্ষার্থীদের

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষার্থী ফয়সাল মিয়া বলেন, আজ খবরে দেখলাম সেপ্টেম্বরে নির্বাচন হবে। আচ্ছা, এটা বাদ দিলাম। দেশের সবকিছু স্বাভাবিক। এছাড়া মাদ্রাসা খোলে দেওয়া হয় ঈদের পর পরেই। তাহলে, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিপক্ষে কিছু পাচ্ছি না।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষার্থী সায়েদা সাইমাতুল হোসেন রিমি বলেন, কতগুলো জব এর সার্কুলার দিছে,,শুধুমাত্র বেধে আছি ক্যাম্পাস বন্ধ তাই,এতদিন এ ফাইনাল পরীক্ষা অনেক আগে হয়ে যেতো,,দোহাই,,অন্তত পরীক্ষা নিয়ে নেন,,তারপর ক্যাম্পাস বন্ধ করে দিয়ে দরকার হয় অনলাইন এ ক্লাস নিক,তবুও পরীক্ষাটা হতে দিক।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষার্থী নাইমুল হক বলেন, ইদের পর থেকে সবকিছুই যেখানে ঠিকঠাক মতো চলছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা সেখানে কতটুকু কার্যকর বা যৌক্তিক? ঐদিন ব্যাংকে গেলাম, সেখানে মানুষের ভীড় দেখে আমি শিহরিত ছিলাম। তবুও ঐ ভীড়েই এক ঘন্টা দাড়িয়ে টাকা উঠাতে হয়েছিল। তাছাড়াও মাছ বাজার, সবজি বাজার সবখানেই উপচে পড়া ভীড়! যারা এসব জায়গায় ভীড় জমাচ্ছেন তারাওতো কোনো না কোনো শিক্ষার্থীর পরিবারের। এতকিছুর পরেওকি শিক্ষার্থীরা ঝুকিমুক্ত? তারপরেও কেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হচ্ছেনা?

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষার্থী মালিহা মেহজাবিন পাপরি বলেন, প্রথমত বাংলাদেশে এখন সীমিত পরিসরে বলে কিছু নেই। সব কিছুই স্বাভাবিক ভাবে চলছে প্রায়।

ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী নাজমিন ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলা উচিত কারণ ঠিক যে কারনে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ দেয়া হয়েছিল সেটি বাস্তবায়ন হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়েছিল যাতে শিক্ষার্থীরা বাসায় থাকে আর নিরাপদ থাকে।কিন্তু দিন যত গড়াচ্ছে তার সাথে সব স্বাভাবিক হচ্ছে। মানুষ বাইরে যাচ্ছে, হোক সেটা জীবনধারণের তাগিদে অথবা বিনোদনের জন্য। আর প্রথম দিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর পাশাপাশি অন্যান্য খাত গুলো বন্ধ ছিল। তার ফলে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে গিয়েছিল কিন্তু ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে এবং মানুষের জীবনধারাও স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এখন সবাই কম বেশি বাইরে যাচ্ছে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থী প্রাপ্তবয়স্ক। স্বাস্থ্যবিধি যে জ্ঞানটুকু প্রয়োজন, বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীর মধ্যে সেই জ্ঞানটুকু রয়েছে ঠিক সে কারণেই বিশ্ববিদ্যালয় খোলা উচিত।
আর দীর্ঘদিন বাসায় থাকার ফলে শিক্ষার্থীদের মানসিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা প্রচন্ড মানসিক পীড়নে ভুগছে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী টিউশন করিয়ে তার পড়াশোনার খরচ চালাত যেটা এখন আর সম্ভব হচ্ছে না।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এর শিক্ষার্থী বনলতা সেন বলেন, আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানর বন্ধ রাখার মূল কারণ হল করোনা পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক করা। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যতীত বাংলাদেশের প্রতিটা সেক্টর স্বাভাবিক ভাবেই চলছে যার ফলে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার কোন সম্ভাবনা নেই। আর ভ্যাকসিনের আশায় বসে থাকলে নিশ্চয়ই আগামী বছরের মাঝামাঝি পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। সেটা কি সম্ভব?? তাছাড়া আমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া তাদের রোগ প্রতিরোধ সক্ষমতা রয়েছে। বারবার আবাসিক হলের কথা আসছে। তাহলে আমরা কি গার্মেন্টসে যারা কাজ করে তাদের চেয়ে নিশ্চয়ই বেশি গাদাগাদি করে থাকি না।

পূজা অধিকারী নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রথমত,যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ে তারা ছোট বাচ্চা না,তারা অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে এবং অন্যরাও যাতে মানে সে ব্যাপারে আগ্রহী করে তুলতে পারবে।
দ্বিতীয়ত,অনেক স্টুডেন্ট দ্বিতীয় বার পরীক্ষা দিয়ে চান্স পেয়েছে,অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশন জট আছে,,যার ফলে অনেকে দুই বা এক বছর বা তারো বেশি বছর ইতিমধ্যেই পিছিয়ে রয়েছে,যার ফলে চাকরি বছর কমছে,আর এই সব কারণে নানা রকমের মানসিক অশান্তির মধ্যে রয়েছে।

মুমতাসিন কেয়া নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, একটা বছর চলে যাওয়া মানে একজন শিক্ষার্থীর অনেক স্বপ্নভঙ্গ হওয়া । একবার ভেবে দেখুন আমরা যারা মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়ে আছি তাঁদের অনেকের কাছে একটা চাকরি কতটা গুরুত্বপূর্ণ । অথচ একটা বছর লস হওয়া মানে তার পড়াশুনা এক বছর পিছিয়ে যাওয়া আর পড়াশুনা পিছানো মানে চাকরির যে বয়সসীমা তা থেকে একটা বছর চলে যাওয়া । অনেকের হয়তো এটাই চাকরির শেষ বছর ছিল । এছাড়া এভাবে বাসায় এতগুলো মাস বসে থাকায় অনেকের মধ্যে হতাশা দেখা দিচ্ছে যা পরবর্তীতে অপরাধ প্রবণতা বাড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে । আর একজন ছেলে/মেয়ে এভাবে থাকলে এটা একটা পরিবারের জন্যও কষ্টদায়ক হয়ে পড়ে । আর একটা কথা না বললেই নয় একে তো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না তার উপর আমরা যারা মেসে থাকি আমাদের বাসায় বসে থেকেও মেসের ভাড়া দিতে হচ্ছে । গণপরিবহন,গার্মেন্টস,অফিসআদালত সব চলছে । তাহলে কি করোনা কি শুধু শিক্ষা_প্রতিষ্ঠান গুলোতেই । আচ্ছা একজন বাস ড্রাইভার বা একজন গার্মেন্টস কর্মীর তুলনায় আমরা শিক্ষার্থীরা কি এতোই অসচেতন । সত্যি বলতে যে কোনো পরিস্থিতিতে আমরা শিক্ষার্থীরাই সবচেয়ে বেশি দূর্ভোগের স্বীকার হই । এই করোনা আমাদের শিক্ষার মান কোথায় নিয়ে যাবে তা আর না বলি । তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হোক ।

ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল সুরাইয়া মুন বলেন “স্কুল অফ রেখে অন্তত ভার্সিটি খুলা উচিত।নইলে চাকরির বয়স বাড়ানো উচিত।”

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে EducationsinBD.com এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group

Leave a Reply