শিক্ষা নিউজ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে আন্দোলনে নামার ঘোষণা শিক্ষার্থীদের

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। এজন্য তারা প্রাথমিকভাবে ‘সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা চাই’ শীর্ষক মানববন্ধনের আয়োজন করতে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার হাজী দানেশ বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী শেখ ফারহান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন। তার বক্তব্য, মানববন্ধনের পর পরিস্থিতি বিবেচনা পরবর্তী কর্মসূচি দেয়া হবে।

ফারহান আরো বলেন, রাস্তায় নামা ছাড়া আমাদের আর কোন পথ খোলা ছিল না। দীর্ঘদিন আমরা ফেসবুকে ভার্চুয়াল আন্দোলন করে কারো দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারিনি। বন্ধ এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে নাগাদ খুলতে পারে তারও কোন নিশ্চয়তা আমরা দেখছি না। করোনার শুরু থেকে ঘরে বসে থেকে আমরা শিক্ষার্থীরা চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছি। আমরা আমাদের দাবির বিষয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।

তিনি বলেন, আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ পাকিস্তান তিন স্তরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে। আমরা চাই আমাদেরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয় এবং পর্যায়ক্রমে মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হোক। কারণ একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অবশ্যই তার স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন থাকবেন। আর এদিকে পরে ধীরে ধীরে ভ্যাকসিনও চলে আসবে। সবকিছু স্বাভাবিক চলছে, শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে আমাদেরকে সেশন জটিলতার দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের বক্তব্য, দেশের সবকিছুই স্বাভাবিকভাবে চলছে। শুধু বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিক এটা আমরা চাইনা। বিকল্প কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে হলেও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া উচিত। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর জন্য ৫ মাস ঘরে বসে থাকা অসম্ভব ব্যাপার। ইতোমধ্যে ১ বছরের সেশনজট হয়ে গেল। তার ওপর অনিশ্চিত এক ভবিষ্যৎ গ্রাস করছে শিক্ষার্থীদের।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সিদরাতুল মুনতাহা সোহা বলেন, বিগত পাঁচ মাসে যত আত্মহত্যার খবর এসেছে প্রায় সবগুলো ঘটনা ছিল অনার্স-মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের। মাসের পর মাস ঘরে থেকে তারাও বিভিন্ন পারিবারিক বাস্তবতার সম্মুখীন হচ্ছে। ভবিষ্যত নিয়ে হতাশায় দিন কাটাচ্ছে। এই বয়সে এসে সংসারের উপরে অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করে ঘরে বসে থাকার মত বয়স এবং সময় কোনটিই নেই।

মুনতাহার মতে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের সমস্ত খাতগুলো ধীরে ধীরে চালু হয়েছে। আমরা ঘরে বসে থেকেও নিরাপদবোধ করছি না। এমতাবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিংবা বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করে আমাদেরকে এই হতাশার ফাঁদ থেকে উদ্ধার করা হোক। মূলত এজন্যই আমাদের দাবি কর্তৃপক্ষকে জানাতে মানববন্ধন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।

সম্প্রতি ঘরবন্দি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অবস্থা জানতে তাদের সঙ্গে কথা বলেছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাসহ সব ধরনের পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। এ কারণে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাও চলছে না। অনলাইনে ক্লাস চললেও সকল শিক্ষার্থীরা এ সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে না। তারা বলছেন, দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা যেন এক বিরল দৃষ্টান্ত। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এতোদিন বন্ধ পেয়ে যেমনি পড়ার প্রতি অনিহা চলে এসেছে, তেমনি চলে এসেছে সৎ ও অসৎ সঙ্গের সংমিশ্রণ। তাই স্বাস্থবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি তাদের।

 

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে EducationsinBD.com এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group

Leave a Reply