প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি শিগগিরই: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলতি দায়িত্বে থাকা প্রধান শিক্ষকরা শিগগিরই পদোন্নতি পাবেন। ইতোমধ্যে চলতি দায়িত্বে থাকা প্রধান শিক্ষকদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। চূড়ান্ত তালিকা যাচাই-বাছাই শেষে সরকারি কর্ম কমিশনে পাঠানো হবে। কমিশন অনুমতি দিলেই শিগগিরই তাদের পদোন্নতি চূড়ান্ত করা হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আর সরাসরি প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে না
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আরো বলেন, এটি চলমান প্রক্রিয়া। ইতোমধ্যে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ডিজি অফিসকে বলা হয়েছে যারা যোগ্য তাদের তালিকা পাঠানোর জন্য। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদটি দ্বিতীয় শ্রেণির করা হয়েছে। তাই পদোন্নতি দিতে পিএসসির সুপারিশ লাগবে। আমরা চেকলিস্ট করে দিয়েছি। সেই চেকলিস্ট অনুযায়ী কাগজপত্র পাঠাতে বলা হয়েছে। ডিজি অফিস কাগজপত্র পাঠালে এবং কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে আমরা পিএসসিতে পাঠাব। পিএসসি অনুমোদন দিলে পদোন্নতি দেওয়া হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বলেন, সারাদেশে প্রায় ১৮ হাজারের মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাদের জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে চূড়ান্তভাবে পদোন্নতি দেওয়া হবে। মাঠ কর্মকর্তার কাছে দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের গ্রেডেশন তালিকাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠাতে বলা হয়েছে।
প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সারাদেশে অন্তত ২০ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। যেহেতু প্রধান শিক্ষকের পদটি দ্বিতীয় শ্রেণির করা হয়েছে, সে কারণে পদোন্নতি দিতে পিএসসির সুপারিশ লাগবে। পিএসসি অনুমোদন দিলেই চূড়ান্ত তালিকা ধরে প্রধান শিক্ষক হিসেবে তাদের পদোন্নতি দেওয়া হবে।
আরো পড়ুন- প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার প্রস্তুতি নিতে নির্দেশিকা
জানা গেছে, দেশের ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তিনটি ধাপে ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও জাতীয়করণ করা হয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া আরও ২০ হাজার প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। যে বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষক নেই, সেখানে সহকারী শিক্ষকদের চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।