শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন এখন থেকেই স্থায়ী হচ্ছে
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন এখন থেকেই স্থায়ী হচ্ছে। দীপু মনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন করা হয়েছে। এটি আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার কথা। সেটিকে এগিয়ে আনা হয়েছে। সেটা এখন থেকেই হবে। কারণ, অন্যান্য পেশার চেয়ে শিক্ষকেরা বছরে ৫২ দিন বেশি কাজ করেন। শিক্ষকদের একটু সময় দরকার। শিক্ষার্থীদেরও একটু সময় দরকার।
দীপু মনি আরও বলেন, সারা বিশ্বই বলছে, সব গবেষণা বলছে, সপ্তাহে দুই দিন ছুটি হলে তা শেখার পক্ষের সহায়ক। শেখানোর পক্ষেও সহায়ক।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য গত ২২ আগস্ট সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিসের সময়সূচি এগিয়ে আনা হয়। পাশাপাশি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন করে সরকার।
Read more-গত ৬ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড বিষয়টি নজরে আনে; যাতে প্রাথমিকভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্মত হয়েছে। তবে বিষয়টি এখনও খসড়া পর্যায়ে; এ নিয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
জানতে চাইলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘‘আমরা যে নতুন কারিকুলাম করছি, সেখানে সপ্তাহে দুই দিন বন্ধের একটি খসড়া করেছি। সেই খসড়া মন্ত্রী মহোদয় এবং সচিবকে দিয়েছি। খসড়া প্রস্তাবনায় আমরা বলেছি, সপ্তাহে যদি দুই দিন বন্ধ রাখা যায়; তাহলে আমাদের শিক্ষকরা একটু রিল্যাক্স করতে পারেন। ফলে তারা শিক্ষার্থীদের আরও মনোযোগ সহকারে পাঠদান করতে পারবেন। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারি ছুটি সপ্তাহে দুই দিন শুক্র ও শনিবার। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি শুধু শুক্রবার। এই ছুটি বাড়াতে প্রস্তাব করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। প্রস্তাবে বলা হয়, ছুটি বাড়ালেও শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে কোনও ক্ষতি হবে না। সাপ্তাহিক এই দুইদিন ছুটির সিদ্ধান্ত ২০২২ সাল থেকে বাস্তবায়নের প্রস্তাব করেছে এনসিটিবি। তবে দুই মন্ত্রণালয় চাইলে যেকোনও সময় এই ছুটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।
বিদ্যমান সাপ্তাহিক ছুটি ও অন্যান্য ছুটি ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বছরে ক্লাস চলে ২১৫ দিন। শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি ঘোষিত হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস চলবে ১৮৫ দিন। কারণ অনেক শনিবারে সরকারি ছুটি থাকে প্রতিবছর।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস