২০২৩ সালের নতুন কারিকুলামে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে কোনো পরীক্ষা নয়।
২০২৩ সালের নতুন কারিকুলামে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে কোনো পরীক্ষা নয়। ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) গাইডলাইন অনুযায়ী। এ গাইডলাইনের বিষয়ে পরে স্কুলগুলোকে জানিয়ে দেওয়া হবে। মাধ্যমিক পর্যায়ের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন-শেখানো ও মূল্যায়ন কার্যক্রমের ক্ষেত্রে এনসিটিবি প্রণীত শিক্ষক সহায়িকা এবং শিক্ষাক্রমের নির্দেশনা অনুসারে করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রচলিত কোনো পরীক্ষা বা মডেল টেস্ট নেওয়া যাবে না। ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বিষয়ে এনসিটিবি থেকে যে গাইডলাইন পাওয়া যাবে, তা পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।
নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শিক্ষক, প্রতিষ্ঠানপ্রধান, উপজেলা বা থানা একাডেমিক সুপারভাইজার, উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, আঞ্চলিক উপপরিচালক এবং আঞ্চলিক পরিচালকদের নিয়মিত পরিবীক্ষণ জোরদার করতে হবে।
শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তনের আভাস দিয়ে নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়নের কাজ শুরু করেছিল জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। পরিকল্পনা ছিল আগামী বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী পাঠ্যবই তুলে দেয়া। তবে প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত নতুন এ শিক্ষাক্রম আরও এক বছর পিছিয়ে দেয়া হয়েছে।
) এনসিটিবি, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি), প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর এবং শিক্ষা বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী প্রস্তাবিত নতুন শিক্ষাক্রমে ২০২৩ সালে মাধ্যমিক স্তরের ১০০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে পরীক্ষামূলকভাবে নতুন শিক্ষাক্রমের কাজ হবে। এরপর ২০২৩ সালে গিয়ে এই দুটি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন শিক্ষাক্রমের বই দেয়া হবে।
এ বিষয়ে এনসিটিবি চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিসহ ১০০টি স্কুলে আগামী বছর পরীক্ষামূলকভাবে পাইলটিং আকারে কার্যক্রম চালানোর বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে। তবে এখনও রেজুলেশন আকারে প্রকাশ করা হয়নি। আশা করছি আগামীকাল শিক্ষামন্ত্রণালয় চূড়ান্ত আকারে এটি প্রকাশ করবে। এরপরই আসলে কী পরিবর্তন হচ্ছে তা বলা যাবে।’
উল্লেখ্য, চলতি মাসে শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করে তার আলোকে জুনের মধ্যে নতুন বই লেখার কাজ শেষ করা হবে। এরপর বই ছাপিয়ে আগামী বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী পাঠ্যবই দেয়া হবে। কিন্তু এপ্রিল মাস শেষ হতে চললেও এখন পর্যন্ত শিক্ষাক্রমের রূপরেখাই অনুমোদন করতে পারেনি শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ অবস্থায় আগামী বছর থেকে নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের বই দেয়ার বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে যায়। ফলে এ সভায় বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে পিছিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।