এসএসসি, এইচএসসি ও পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস প্রতিদিন, বাকিদের সপ্তাহে একদিন
এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন স্কুলে আসতে হবে। এছাড়া প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ক্লাস এবং মাধ্যমিকে ষষ্ঠ, সপ্তম, নবম শ্রেণির ক্লাস হবে সপ্তাহে এক দিন। আজ রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন- ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু, গাইডলাইন প্রকাশ
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, শুরুর দিকে ২০২১ সালে যারা এসএসসি ও এইচএসসি এবং ২০২১ সালে যারা এসএসসি পরীক্ষা দেবেন তাদের প্রতিদিন স্কুলে আসতে হবে। এছাড়াও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ক্লাসে আসবে। ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, নবম, শ্রেণীর আপাতত সপ্তাহে একদিন করে স্কুলে গিয়ে ক্লাস করতে হবে।
রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বিকেল সোয়া ৩টায় উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়। সভাশেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ বৈঠকে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর শুরুর দিন চার-পাঁচ ঘণ্টা ক্লাস হবে। পর্যায়ক্রমে ক্লাসের সংখ্যা বাড়বে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে চেকলিস্ট পূরণ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে। র্যান্ডম স্যাম্পলিং করে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকলে বন্ধ করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের স্কুলে প্রবেশের ক্ষেত্রে সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করাতে হবে। স্কুলে আপাতত কোনো অ্যাসেম্বলি হবে না। তবে ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি বা খেলাধুলা চলবে যাতে শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালো অবস্থানে থাকতে পারে।
আরো পড়ুন- জেএসসি জেডিসি পিইসি পরীক্ষাগুলো নেওয়া সম্ভব হলে নেব: শিক্ষামন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সহায়তায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস চলাকালে কী কী সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে সে সম্পর্কে প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। অভিভাবকরা যখন তাদের সন্তানদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠাবেন তখন তার পরিবারের কেউ কিংবা শিক্ষার্থীর করোনার উপসর্গ নেই তা নিশ্চিত করবেন। তার সন্তানের মাধ্যমে যেন অন্য কোনো শিক্ষার্থী সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা না থাকে সে ব্যাপারে সচেতন থাকবেন।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসবে তখন করোনা সম্পর্কিত যত ধরনের গাইডলাইন, স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) যা যা হালনাগাদ করা হয়েছে তার ভিত্তিতে শিক্ষক ও অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতিদিনের শারীরিক তাপমাত্রা মাপা, কারও কোনো উপসর্গ আছে কি-না তা পরীক্ষা করা এবং শ্রেণিকক্ষে সবার মুখে মাস্ক পরা আছে কি-না তা নিয়মিত পরীক্ষা করবেন। মাস্ক ছাড়া কাউকে ক্লাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এক্ষেত্রে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের মুখে মাস্ক পরিয়ে ক্লাসে পাঠাবেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি থাকায় শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে সরকার ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে। পরে কয়েক দফা চেষ্টা করেও এই মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো আর খোলা সম্ভব হয়নি।