এইচএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে ১০ হাজার ৫০১ শিক্ষার্থী বৃত্তি পাচ্ছেন
২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। জেএসসি ও এসএসসি ফলাফলের ভিত্তিতে মূল্যায়নের ফল প্রকাশ করা হয়। পাবলিক এ পরীক্ষার সেই ফলের ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড থেকে মেধাবৃত্তি ও সাধারণ বৃত্তির সংখ্যা/কোটা ও টাকার পরিমাণ পুনঃনির্ধারণ সংক্রান্ত আদেশের প্রেক্ষিতে শর্ত মোতাবেক বোর্ড ভিত্তিক বৃত্তির কোটা বন্টন করা হয়েছে। এইচএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে ১০ হাজার ৫০১ শিক্ষার্থী এবার সরকারের বৃত্তি পাচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা মেধাবৃত্তি ও সাধারণ বৃত্তি পাবেন।
শুক্রবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ওয়েবসাইটে ২০২০ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মেধাবৃত্তি ও সাধারণ বৃত্তির কোটা বন্টন সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০২০ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসি উত্তীর্ণদের মেধা ও সাধারণ বৃত্তি দিতে বোর্ডভিত্তিক কোটা বণ্টন করেছে মাউশি। ২২ এপ্রিলের মধ্যে বৃত্তির গেজেট প্রকাশ করতে বলা হয়েছে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডকে। এবার সব বোর্ড মিলিয়ে সর্বমোট ১ হাজার ১২৫ শিক্ষার্থী মেধাবৃত্তি পাবেন এবং ৯ হাজার ৩৭৬ শিক্ষার্থী পাবেন সাধারণ বৃত্তি। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে বোর্ডগুলোয় পাঠানো এক আদেশে এসব তথ্য জানা গেছে।
ঢাকা বোর্ড ৪২৭ জন ২৭০০ জন
ময়মনসিংহ বোর্ড ৭২ জন ৬৫৯ জন
রাজশাহী বোর্ড ১৯৪ জন ১২৬২ জন
কুমিল্লা বোর্ড ৬৯ জন ৮৯৬ জন
সিলেট বোর্ড ৩১ জন ৫৯২ জন
বরিশাল বোর্ড ৪১ জন ৫৭০ জন
যশোর বোর্ড ৯৪ জন ১০০২ জন
চট্টগ্রাম বোর্ড ৮৬ জন ৭২৯ জন
দিনাজপুর বোর্ড ১১১ জন ৯৬৬ জন
এইচএসসিতে মেধাবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীরা মাসে ৮২৫ টাকা ও বছরে এককালীন ১ হাজার ৮০০ টাকা পাবেন। সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসে ৩৭৫ টাকা এবং বছরে এককালীন ৭৫০ টাকা পাবেন। জিটুপি পদ্ধতিতে ইএফটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বৃত্তির টাকা পাঠানো হবে। ২২ এপ্রিলের মধ্যে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের তালিকাসহ গেজেট প্রকাশ করতে ৯টি সাধারণ ধারার শিক্ষা বোর্ডকে বলেছে শিক্ষা অধিদপ্তর।