নেত্রকোণা জেলা পরিবার পরিকল্পনা ফলাফল ২০২২ Netrokona District Family Planning Final Result
নেত্রকোণা জেলা পরিবার পরিকল্পনা চূড়ান্ত ফলাফল ২০২২ Netrokona District Family Planning Final Result DGFP Netrakona Final Result ০৩ (তিন) ক্যাটাগরির পদে নিয়োগের লক্ষ্যে (পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক, পরিবার কল্যাণ সহকারী এবং আয়া) ১৮/১১/২০২২ খ্রি: তারিখে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষা এবং ১৯/১১/২০২২ তারিখের মৌখিক পরীক্ষার ভিত্তিতে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক পদে ১টি শূন্য পদের বিপরীতে নিম্নবর্ণিত রোল নম্বরধারী, আয়া পদে ১১টি শূন্য পদের বিপরীতে নিম্নবর্ণিত রোল নম্বরধারীগণ এবং পরিবার কল্যাণ সহকারী পদে ৭০টি শূন্য পদের বিপরীতে নিম্নবর্ণিত রোল নম্বরধারীগণ চূড়ান্ত নিয়োগের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
নেত্রকোণা জেলা পরিবার পরিকল্পনা ফলাফল ২০২২ Netrokona District Family Planning Final Result
শবে বরাতের ছুটি ৩০ মার্চ নির্ধারণ করায় আগামী ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না। এ ছুটি আরও পিছিয়ে দেয়া হবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। এছাড়াও নতুন করে করোনা প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় ছুটি বাড়ানো হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বুধবার (২৪ মার্চ) বলেন, ‘সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত থাকলেও সেদিন শবে বরাতের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ কারণে সেদিন স্কুল-কলেজ খোলা হবে না।’
আরো পড়ুন- পরামর্শক কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে কিনা
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে দু-একদিনের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালকের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। ৩০ মার্চ ছুটি ঘোষণা করে মাউশিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বলা হবে।’
ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’ দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে ঘোষণা দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত পিছিয়ে দেয়ার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের গিনিপিগ বানিয়ে তাদের নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে না। তাদের সুরক্ষার কথাটি আগে বিবেচনা করে স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’ পবিত্র ঈদুল ফিতর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির ঘোষণা দেয়া হতে পারে বলে জানান তারা।
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, করোনা সংক্রমণের চলমান ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। সরকার বিবেচনা করবে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৩০ মার্চ খুলবে নাকি পেছাবে। যদি পরিবর্তন হয়, তাহলে জানানো হবে
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছিলেন ৩০ মার্চ স্কুল-কলেজ খুলে দেয়া হবে। তখন শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলেও প্রাক-প্রাথমিক খুলছে না। এ বিষয়ে পরে জানিয়ে দেয়া হবে। পঞ্চম, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন ক্লাস নেয়া হবে। অন্যান্য ক্লাসের শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে একদিন ক্লাস নেয়া হবে। পর্যায়ক্রমে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে।
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ২৪ মে থেকে শুরু হবে এবং হল খুলবে ১৭ মে। এর আগে সব ধরনের পাঠদান ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। ১৭ মে এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের করোনা টিকা দেওয়া হবে। এছাড়া বিসিএস পরীক্ষার আবেদন ও পরীক্ষার তারিখ বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নির্ধারণ করা হবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দেওয়ার পরই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর ও মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর স্কুল খুলতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দেয়। ফলে দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা স্কুল-কলেজ সংস্কারের উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। এরপর স্কুল-কলেজ খোলার আগে শিক্ষকদের টিকাগ্রহণ বাধ্যতামূলক করে দুই মন্ত্রণালয়। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৮৫ শতাংশ শিক্ষক করোনা টিকার আওতায় এসেছে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।
কিন্তু সম্প্রতি করোনা সংক্রমণের হার ও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে জনমনে আবারও প্রশ্ন উঠেছে। এরই মধ্যে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, স্কুল-কলেজ খোলা হলে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।
আরো পড়ুন- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যা বললেন
প্রসঙ্গত, দেশে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এর পর দফায় দফায় ছুটি আগামী ২৯ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। দেশের সকল স্কুল-কলেজ ৩০ মার্চ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ২৪ মে খুলে দেওয়ার কথা রয়েছে।