গ্যাস্ট্রিক কমানোর ঘরোয়া উপায়
গ্যাস্ট্রিক কমানোর ঘরোয়া উপায়
আলুর রসঃ
একটি বা দুটো আলু নিয়ে গ্রেট করা আলু থেকে রস বের করে নিন। এরপর আলুর রসের সাথে গরম জল মিশিয়ে নিন। এই পানীয় দিনে ৩ বার পান করুন। প্রতি বেলায় খাবার ৩০ মিনিট আগে খেয়ে নিন আলুর রস। তবে অন্তত ২ সপ্তাহ পান করুন এই পানীয়।
আদাঃ
আদা কুচি করে জল দিয়ে ফুটিয়ে নিন। ১০ মিনিট ডেডে রাখুন এরপর সামান্য মধু মিশিয়ে বানিয়ে নিন। এই পানীয়টি দিনে ২/৩ বার পান করুন উপকারিতা পেতে পারেন।
দইঃ
১. প্রতিদিন ২/৩ চামচ দই খেয়ে নিন এই দই আমাদের পাকস্থলীকে এইচ পাইলোরি ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে যা গ্যাস্ট্রিক হওয়ার অন্যতম কারণ। তাছাড়া দই আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
ওষুধ ছাড়া কীভাবে গ্যাসট্রিক দূর করা সম্ভব-
খালি পেটে কখনই চা খাবেন না। লেবু চা ও গ্রিন টি খেলেও কষ্ট বাড়তে পারে।
দুটি মূল খাবারের মাঝে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টার ব্যবধান রাখুন। ঠিক রাখুন খাওয়া ও ঘুমের সময়ও।
সিগারেট ও মদে গ্যাসট্রিকের সমস্যা বাড়ে। তাই মদ্যপান ও ধূমপান দুটিই ছেড়ে দিতে পারলে ভালো।
ব্যথার ওষুধ থেকেও গ্যাসট্রিকের সমস্যা বাড়ে। কথায় কথায় ব্যথার ওষুধ না খেয়ে যে কারণে ব্যথা হচ্ছে তার চিকিৎসা করান।
রাতে দাওয়াত কিংবা নিমন্ত্রণ থাকলে দিনে হালকা খাবার খান। যাওয়ার আগে অল্প কিছু খেয়ে যান।
চর্বিসমৃদ্ধ খাবার, মিষ্টি, দুধ, কফি, শুকনো মরিচ, গোলমরিচ, টক, খুব ঠাণ্ডা বা গরম খাবারে অম্বল হতে পারে। কী ধরনের
খাবারে এমন হয়, তা খেয়াল করুন। নিয়মিত ডায়েট থেকে বাদ দিন সেসব খাবার।
গ্যাসট্রিক ঠেকাতে ওজন ও ভুঁড়ি কমান আগে। শরীরচর্চা করুন নিয়মিত আর খাওয়ার দুই ঘণ্টা পরে ঘুমাতে যান।
স্ট্রেস থেকে শুধু যে অম্বল/গ্যাসট্রিক বাড়ে এমন নয়, হৃদরোগসহ আরো অনেক জটিল রোগও দেখা দিতে পারে। কাজেই স্ট্রেসকে বশে রাখুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বাড়ি ফিরে সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে না পরে কিছুক্ষণ হাঁটাচলা করুন। ঘুমাতে যান অন্তত দেড়-দু’ঘণ্টা পরে।
হঠাৎ গ্যাসের সমস্যা হলে অল্প অল্প করে ঠাণ্ডা পানি খেতে থাকুন। দুই-এক ঘণ্টায় কষ্ট না কমলে ৪ থেকে ৬ চামচ অ্যান্টাসিড খান। দুই-তিন ঘণ্টা পর আবার খেতে পারেন।
কষ্ট কমে যাওয়ার পরেও দুই-এক দিন হালকা খাবার খান।