পাইলসের ঘরোয়া প্রতিকার
পাইলসের ঘরোয়া প্রতিকার. অর্শরোগ বা পাইলস (হেমোরয়েড) খুব পরিচিত একটি শারীরিক সমস্যা। মলদ্বারে যন্ত্রণা, রক্ত পড়া, মলদ্বার ফুলে ওঠা, জ্বালা করা ইত্যাদি অর্শ্বরোগের সাধারণ উপসর্গ।
র্যাডিশ জুস
র্যাডিশ হল মূলা ঘরানার একটি সবজি। এই সবজি পাইলসের সমস্যায় অত্যন্ত উপকারি। এই সবজির রস খেলে উপকার পাবেন। প্রথমে ১/৪ কাপ দিয়ে শুরু করুন। তারপর ১/২ কাপে নিয়ে আসুন।
বেদানা
বেদানার দানা ভালো করে ফোটান। যতক্ষণ না বেদানার দানা ও পানির রং বদলাচ্ছে ততক্ষণ ক্রমাগত ফুটিয়ে যান। এই পানি ছেঁকে রেখে দিন। দিনে দুবার করে এই পানি খান।
ডুমুর
শুকনো ডুমুর এক গ্লাস পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে এই অর্ধেক পানি খেয়ে নিন। বিকেলে বাকি অর্ধেক পানি খেয়ে নিন।
অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার: একটি তুলোর বলে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার লাগিয়ে ব্যথার স্থানে লাগান। শুরুতে এটি জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করবে, কিন্তু কিছুক্ষণ পর এই জ্বালাপোড়া কমে যাবে।
আদা ও লেবুর রস
আদা ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে তাতে ১ চামচ মধু ভাল করে মিশিয়ে নিন। দিনে দুবার করে এই মিশ্রণটি খান। এতে শরীর হাইড্রেট হবে এবং পাইলসের সমস্যাও কমবে।এ ছাড়া দিনে অন্তত ২-৩ লিটার পানিতে খেলেও অনেকটা উপকার পাওয়া যায়।
কাঁচা পেঁয়াজ
পাইলসের কারণ যে মলদ্বার থেকে রক্ত পরার সমস্যা তৈরি হয়, কাঁচা পেঁয়াজে সে সমস্যা অনেকটাই কমে অন্ত্রের যন্ত্রণা প্রশমিত করতেও সাহায্য করে।
প্রাতঃকর্মের সময় বসার ধরণ
ভুল পদ্ধতিতে কমোডে বসার ফলে অতিরিক্ত চাপের প্রয়োজন হয়। পায়ের নিচে একটা ছোট টুল রাখুন। কমোডে বসার সময় একটু সামনের দিকে ঝুঁকে বসুন। এতে বৃহদন্ত্রের কম চাপ পড়বে।
ব্যায়াম
কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা কমাতে ও শরীরে রক্তচলাচল স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। তবে যদি খুব পরিশ্রম করেন বা ভার উত্তোলন করেন তাহলে পাইলসের সমস্যা বাড়তে পারে। সাঁতার কাটা বা সাইকেল চালানোর মতো হাল্কা ওয়ার্কআউট করুন।
হলুদ
কাঁচা হলুদ পানিতে ফোটান ভাল করে। আর এই পানি নিয়মিত খান।
কলা
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সবচেয়ে উপকারি এবং অব্যর্থ ওষুধ হল কলা। বিনা কষ্টে মলত্যাগ করতে সাহায্য করে কলা। কলা সোয়াবিনের দুধ দিয়ে খেলে আরও তাড়াতাড়ি উপকার পাওয়া যাবে।
ডাল
মসুর ডাল, খেসারি ডাল, তিসির ডাল, এই ধরনের খাবার পাইলসের সমস্যা নিরাময়ে খুবই উপকারি।