২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসির পাঠ্যসূচিও কমবে
২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসির সিলেবাস কমানোর কথা ভবছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, করোনার কারণে ৯ম ও একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরও শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হয়েছে। তাদের সিলেবাসও কমানো হবে। তবে, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি ও এইচএসসির সিলেবাসের মত এত কমানো হবে না।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ শিক্ষার্থীকে প্রথমবারের মতো ভাইস চ্যান্সেলর’স অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। দীপু মনি এমপি ভাইস চ্যান্সেলর এওয়ার্ডপ্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীর হাতে স্বর্ণপদক ও সনদ তুলে দেন। আর রচনা প্রতিযােগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে নগদ অর্থ ও সনদ তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী।
আরো পড়ুন- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা ফলাফলধারী ৩০ শিক্ষার্থী পেলেন স্বর্ণপদক
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা দীপু মনি এমপি বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রথমবারের মতাে ভাইস চ্যান্সেলরস এওয়ার্ড (স্বর্ণপদক) প্রবর্তন করেছে। আমাদের সবাইকে এই অনুষ্ঠান অনুপ্রাণিত করেছে। এখন থেকে প্রতিবছরই এই এওয়ার্ড প্রদান অব্যাহত থাকবে বলে আশা করি। মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে যে বই দুইটি নিয়ে রচনা প্রতিযােগিতার আয়ােজন করা হয়েছে সে বই দুটি শুধু আত্মজীবনীমূলক বই নয়, একজন ভাল মানুষ হিসেবে তৈরি হতে হলে বইগুলো পড়ার বিকল্প নেই। বঙ্গবন্ধুর লেখা তিনটি বই আকর গ্রন্থ। এই বইগুলাে আমাদের সবার পাঠ্য হওয়া উচিত ।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন পুনরায় খুলে দেয়ার জন্য দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুত করা হয়েছে। করোনা বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে শিগগিরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার কথা ভাবছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তিনি বলেন, দেশের সকল শিক্ষককে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনার টিকা দেয়া হবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোর আবাসিক শিক্ষার্থীদেরও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনার টিকা প্রদান করা হবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড- তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে- দীর্ঘ সেশনজট নিরসন, করােনাকালে শিক্ষার্থীদের জন্য ১৩ হাজার ৫০০টি ক্লাশ অনলাইনে আপলােড, শিক্ষার মানােন্নয়নে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ধারাবাহিকভাবে কলেজ পারফরমেন্স র্যাংকিং, মডেল কলেজ ও শতবর্ষী কলেজ প্রকল্প, বৈশ্বিক মহামারী করােনাকালীন অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমসহ নতুন নতুন উদ্ভাবনী কর্মসূচি গ্রহণ করে চলেছে।
শিক্ষামন্ত্রী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশংসা করে বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির মধ্যেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষার্থীদের অর্ধসমাপ্ত বা নতুন পরীক্ষা গ্রহণ করেছে, যা খুবই প্রশংসনীয়।
আরো পড়ুন- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখন আর পিছিয়ে নেই: উপাচার্য
অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ, শিক্ষা সচিব মো. মাহবুব হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক। এওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কলেজসমূহ ছাড়াও অন্যান্য কলেজের অধ্যক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট, সিন্ডিকেট সদস্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আবদুস সোবহান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মীজানুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এম এ মান্নান ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েল উপাচায প্রফেসর ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।