শিক্ষা নিউজ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেপ্টেম্বরের আগে খুলছে না , সিদ্ধান্ত ঈদের আগেই

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেপ্টেম্বরের আগে খুলছে না , সিদ্ধান্ত ঈদের আগেই। একথা গত ২৭ এপ্রিল ২০২০ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে। তিনি বলেন, আমরা এখনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলব না, কমপক্ষে সেপ্টেম্বর অবধি বন্ধ থাকবে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব অব্যাহত থাকায় এই স্কুল, কলেজ এবং অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, সেপ্টেম্বর মাসের আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কোনো ইচ্ছা নেই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেব।

অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion

এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে ২ মন্ত্রণালয় বৈঠক করা হবে। এই বিসয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এদিকে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৬ আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। ছুটি শেষ হতে এখনও বেশ কয়েকদিন বাকি রয়েছে। ছুটি শেষ হওয়ার আগেই আলোচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা বা কবে নাগাদ খোলা যাবে সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে সকল সিদ্ধান্ত নেব। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে চিন্তা করা হবে। বন্ধের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কয়েকটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। পরিস্থিতি বিবেচনায় তা বাস্তবায়ন করা হবে। ৬ আগস্টের পর ছুটি বাড়ছে কি না তা ঈদের আগেই জানিয়ে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

দুই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঈদের পর না হলেও আগামী সেপ্টেম্বরে খুলে দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। যদি পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয় এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে দায়িত্বশীলরা আশ্বস্ত হন তাহলেই প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়া হবে। আপাতত দুটি পরিকল্পনা রয়েছে। একটি সেপ্টেম্বরে খুলে দেয়া, অপরটি যে কোনো সময়ে খুলে দেয়া।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যতদিন পর্যন্ত করোনার প্রাদুর্ভাব থাকবে ততদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা চালু করব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু কিছু জীবনযাপন আমাদের আস্তে আস্তে উন্মুক্ত করতে হবে। সেখানেও সবাই নিজেকে সুরক্ষিত রেখেই কাজ করবে।’

যারা হাত পেতে চাইতে পারে না, তাদের আলাদা করে তালিকা করতে হবে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁদের জন্যও কার্ড করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া সামনে ঈদ রেখে আরও এক দফা ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন খাতে প্রণোদনার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, যাঁরা ঋণ নিয়ে ব্যবসা করেছেন, কিন্তু এই ভাইরাসের কারণে এই সময়ে ঋণের সুদ বেড়ে গেছে বলে চিন্তা করবেন না।
প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন, যাতে সুদ স্থগিত থাকে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেবে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে, দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে কৃষির ওপর গুরত্ব দেওয়ার কথা বলেন তিনি। ধান কাটার পর সেই জমিও কাজে লাগানোর কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। দুধসহ পোলট্রি ফেলে না দিয়ে তা অল্প টাকায় বিক্রি ও মানুষের মাঝে বিলিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্ব স্তব্ধ। এই ভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশ যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রোগ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে। এটা অত্যন্ত সংক্রামক একটা ব্যাধি। কার যে কখন হবে, বোঝা যায় না। এই দুর্যোগ মোকাবিলায় দেশের সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। যারা ভাইরাস মোকাবিলায় কাজ করছে, তাদের সহযোগিতা করতে হবে।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে EducationsinBD.com এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group

Leave a Reply