এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৪ HSC Result
২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করতে প্রস্তাব করেছে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড। এ প্রস্তাবনা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রী যেদিন সময় দেবেন সেদিন ফল প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রেওয়াজ অনুযায়ী, শিক্ষামন্ত্রী বোর্ড চেয়ারম্যানদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পরীক্ষার ফল হস্তান্তর করেন। পরে শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে ফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
সাধারণত প্রতিবছর এপ্রিলের শুরুতে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু করা হয়। তবে করোনার কারণে ২০২৪ সালের সংশোধিত ও পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে গ্রুপভিত্তিক তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে ছয়টি পত্রে পরীক্ষা হয়। বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
পরীক্ষার্থীদের মধ্যকার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে এবছর বিজ্ঞান বিভাগ, মানবিক বিভাগ, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পরীক্ষার্থীদের একই সময়ে পরীক্ষা গ্রহণ না করে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছিল।শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, দেশের বাইরে থেকে যারা পরীক্ষা দিয়েছেন করোনার কারণে তাদের খাতা আসতে দেরি হওয়ায় ফলাফল প্রস্তুতে দেরি হচ্ছে।
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৪ HSC Result
সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে ৯টি সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে নম্বর পাঠানোর কাজ শেষ হয়েছে। এখন কেন্দ্রীয়ভাবে সফটওয়্যারের মাধ্যমে সার্বিক ফল তৈরির কাজ চলছে। ফল প্রস্তুত হলে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হবে।
উল্লেখ্য, চলতিবছরের এইচএসসি ও সমমানের তত্ত্বীয় অংশের পরীক্ষা গত ৩০ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে। করোনা সংক্রমণের কারণে শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস না হাওয়া বিভাগভিত্তিক তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে ছয়টি পত্রে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২ ডিসেম্বর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছিল।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি থেকে পাওয়া তথ্যমতে, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ১৩ লাখ ৯৯ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী ৯ হাজার ১৮৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে দুই হাজার ৬২১টি কেন্দ্রে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এবার দেশের সাধারণ ৯টি শিক্ষা বোর্ডে শুধু এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন ১১ লাখ ৩৮ হাজার ১৭ জন। আর মাদরাসা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষা দিয়েছেন এক লাখ ১৩ হাজার ১৪৪ জন। এছাড়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি বিএম ও ভোকেশনাল পরীক্ষা দিয়েছেন এক লাখ ৪৮ হাজার ৫২৯ জন।