শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি শিক্ষকদের
করোনা সংক্রমণ রোধে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১৭ মার্চ থেকে কয়েক দফায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সর্বশেষ ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এ ছুটি। এমন পরিস্থিতিতে আচল হয়ে পড়েছে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা। শুধু পাঠদান বন্ধ নয়, স্থগিত হয়েছে বিভিন্ন পরীক্ষাও। নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।
এমন অবস্থায় টিউশন ফি তুলতে পারছে না কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো। এ পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়ে আছে শিক্ষকদের বেতন। আজ ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে সরকারের কাছে প্রণোদনা বা সহজ শর্তে ঋণ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকরা। একই সাথে শিক্ষকদের রেশন কার্ড দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা। রোববার (৫ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এসব দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক সমিতির নেতারা।
আরো পড়ুন- করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে পারছি না : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
সমিতির সভাপতি এম এ ছিদ্দিক মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পারলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে অংশ নেন সমিতির পৃষ্ঠপোষক আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সী। এছাড়া সমিতির বিভিন্ন পর্যায়ে শিক্ষক নেতারা করোনাকালের নিজেদের অর্থনৈতিক দুর্দশার কথা তুলে ধরেন।
সভায় শিক্ষকদের পক্ষ থেকে ৩ দফা দাবি জানানো হয়। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, কিন্ডারগার্টেন ও সমমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষকদের সাহায্যে প্রণোদনার ব্যবস্থা করা বা সহজ শর্তে ঋণ দেয়া। সভায় কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক শিক্ষিকা ও কর্মচারীদের জন্য রেশন কার্ডের ব্যবস্থা করা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করা।
আরো পড়ুন- শিক্ষকদের দক্ষ পাঠদান শিল্পী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই: শিক্ষামন্ত্রী
তারা বলেন, করোনা মোকাবিলা স্কুল বন্ধ শিক্ষক-শিক্ষিকা লকডাউনের কারণে প্রাইভেট টিউশন করতে পারছে না। প্রায় ৯৫ শতাংশ শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান ভাড়া-বাড়িতে পরিচালিত। বাড়ি-ভাড়া, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন, বিদ্যুৎ ও পানির বিল পরিশোধ করতে হয় ছাত্র-ছাত্রীদের মাসিক টিউশন ফি থেকে। স্কুলবন্ধ থাকার কারণে অর্থনৈতিকভাবে নিদারুণ কষ্টে দিনাতিপাত করছেন এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
বক্তারা বলেন, কোনো শিক্ষক না পারে কারো কাছে হাত পাততে, না পারে লাইনে দাঁড়িয়ে সাহায্যে নিতে। তাই শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলো প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্রণোদনায় কিন্ডারগার্টেনগুলোকে অন্তর্ভুক্তিকরণের দাবি আসছে। কেননা এসব প্রতিষ্ঠানে ১০ লক্ষাধিক শিক্ষক-শিক্ষিক কর্মচারী কর্মরত আছেন, যাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে তাদের পরিবাররা।