অনার্স চতুর্থ বর্ষে অটোপাস দেয়া হবে না, পরীক্ষা হবে: উপাচার্য ড. হারুন অর রশিদ
অনার্স চতুর্থ বর্ষে অটোপাস দেয়া হবে না, পরীক্ষা হবে। অটোপাসের দাবিতে গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যে অনুষ্ঠিত অনার্স চতুর্থ বর্ষের (সম্মান) পাঁচটি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে পুরো পরীক্ষার ফল প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন তারা।গত কয়েকদিন ধরে এ দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেন পরীক্ষার্থীরা। আজ ১৬ অক্টোবর এক অনলাইন বক্তব্যে, অটোপাসের কোন সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ। তিনি বলেন, কলেজ খুললেই রুটিন প্রকাশ হবে এবং একের পর এক পরীক্ষা নিয়েই খুব দ্রুত ফল প্রকাশ করা হবে এছাড়া তিনি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া করার পরামর্শ দেন শিক্ষার্থীদের। এছাড়া এবছর এসএসসি ও এইচএসসি জিপিএ এর উপর ভিত্তি করে স্নাতক কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে বলে জানান উপাচার্য।
মৌখিক ও বিজ্ঞান বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষার ক্ষেত্রেও গড় পদ্ধতি অনুসরন করে ৩০দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছিল মানবন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা। করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার অনিশ্চিয়তার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজট নিরসনে বিকল্প ব্যবস্থায় ফলাফল দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ জানান, পরীক্ষা না দিয়ে অটোপ্রমোশনের কোন সুযোগ নেই। অনুকূল পরিবেশ হওয়ার সাথে সাথে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং ন্যূনতম সময়ের মধ্যে ফল দেয়া হবে। শুধু পাঁচটি বিষয়ের ফল নিয়ে সর্টিফিকেধারী শিক্ষার্থীদের জীবনে এ সনদ কোন কাজে আসবে না, না দেশে না বিদেশে।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রেজাউল করিম জানান, বিভিন্ন কলেজে অনার্স চতুর্থ বর্ষের পাঁচটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর দেশে করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। কলেজগুলো বন্ধ হওয়ার আগে পাঁচটি বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ পরীক্ষাগুলোর উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে বাকি বিষয়ের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করার দাবি জানাচ্ছি।
গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম কলেজের একই বর্ষের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী জানান, অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার সময় করোনা ভাইরাসের মহামারির কারণে তিনটি পরীক্ষা বাকি রেখে সকল শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এ কারণে ৬ মাসেও ওই তিন পরীক্ষা আর অনুষ্ঠিত হয়নি। এখনও যেহেতু বাকি পরীক্ষা নেয়ার মতো পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। আগের পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ কলে অটোপাস দিয়ে দ্রুত ফল প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন।
গাজীপুরের রোভারপল্লী ডিগ্রি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, ইতোপূর্বে ১৮আগস্ট ওই ব্যাপারে শিক্ষার্থীরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বরাবার স্মারকলিপি দিয়েছেন। এখনো এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্তের কথা না জানানো রোববার দেশের বিভিন্ন কলেজ শিক্ষার্থীরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছেন।
রেজাল্ট দিয়ে দেওয়া হোক।।।।।।
ভিসি স্যার বার বার বলিতেছেন অটোপাস আমরা তো অটোপাস চাচ্ছি না আমাদের যে ৫ টা পরিক্ষা দিয়েছে তা দিয়ে রেজাল্ট পাবলিশ করতে হবে।
৩য় বর্ষের ইমপ্রুভমেন্ট২০১৯ এর রেজাল্ট টা দিয়ে দেওয়া উচিত
আর কতো দিন ঝুলে থাকবো এভাবে,, হয় পরীক্ষা নিন, না হয় রেজাল্ট দিয়ে দিন।