টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ঢাকা ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২২ প্রকাশ ব্যাচেলর অব এডুকেশন-বিএড ভর্তি
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ব্যাচেলর অব এডুকেশন-বিএড (সম্মান) চার বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান) ১ম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, ঢাকা ।
আগামী ০৬ নভেম্বর রবিবার সকাল ১০ টা থেকে ০৮ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুর ২ টা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।
ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, ঢাকা-এর ওয়েবসাইট (http://ttc.dhaka.gov.bd/)- এ পাওয়া যাবে। ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশ হয়েছে ১লা নভেম্বর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে। মেধা তালিকার ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ঢাকা ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২২ প্রকাশ ব্যাচেলর অব এডুকেশন-বিএড ভর্তি
Read more- ২৩ কলেজে বিএড ডিগ্রি বা স্কেল প্রাপ্তির খবর সঠিক নয়: বেসরকারি টিটি কলেজ সমিতি । সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমে বেসরকারি ২৩টি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ছাড়া বিএড ডিগ্রি নিলে বিএড স্কেল পাওয়া যাবে না মর্মে আদালতের বরাত দিয়ে যে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ শিক্ষক সমিতি।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ অধিভুক্তির শর্তাবলি ও প্রশিক্ষণের গুণগতমান রক্ষা করতে না পারায় ২০০৮ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৩৭টি বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজকে লাল তালিকাভুক্ত করে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের সুপারিশ করে। কলেজগুলোকে অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে দায়িত্ব দেয়। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই আদেশে সংক্ষুব্ধ হয়ে লাল তালিকার ৩৭টি কলেজ থেকে ২৩টি কলেজ আদালতের শরণাপন্ন হয়। বাদবাকি কলেজ এমনিই বন্ধ হয়ে যায়।
২০০৮ সালের মামলাটি সময় গড়িয়ে ২০১৫ সালে একটি আদেশ দেয় আদালত। আদেশে ২০০৮ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত মামলা চলাকালীন সময়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এইসব কলেজ থেকে যারা পাশ করেছে কেবল তাদের অর্জিত সনদ বৈধ ঘোষণা করা হয়। তবে এই আদেশে কলেজগুলো বৈধ হওয়ার কিংবা ভবিষ্যতে এইসব কলেজ শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে ছাত্র ভর্তি করাতে পারবে কিনা তার কোন সুস্পষ্ট নির্দেশনা নেই। কিন্তু কলেজ এর মালিক পক্ষ মহামান্য হাইকোর্টের এই আদেশের এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মাউশির কাছে ভুলভাবে উপস্থাপন করে মাউশি থেকে মাধ্যমিক জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি পক্ষপাতমূলক চিঠি ইস্যু করায় ২০১৯ সালে। যাতে কেবল মামলায় থাকা ২৩টি কলেজ ব্যতীত অন্য কলেজ থেকে বিএড সনদ গ্রহণ না করার আদেশ দেয়া হয়। এতে নড়েচড়ে বসেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বাদবাকি মানসম্পন্ন কলেজগুলোর প্রতিনিধিরা। যেখানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রায় ১০০টি কলেজ বিএড প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে সেখানে কি করে মাত্র ২৩টি কলেজের পক্ষে এমন একতরফা নেতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয় মাউশি। বিষয়টি মাউশির ডিজি মহোদয়ের নজরে আনলে তিনি তৎক্ষণাৎ এই আদেশ বাতিল করে চিঠি ইস্যু করেন। (স্মারক নং: ওএম-০১-ম/২০১৫/২২৬১, তারিখ: ২২/০৫/২০১৯) কিন্তু মাউশির কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে সেই চিঠি আর পৌছেনি জেলা শিক্ষা অফিসার/উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে। এমনকি মাউশির ওয়েবসাইটেও এই চিঠি আপলোড করা হয়নি।
লাল তালিকার কলেজগুলো মাউশির এই আসকারাকে কাজে লাগিয়ে সম্প্রতি আবার বিভিন্ন মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দিয়ে নিউজ প্রচার করে দাবি করছে যে, তাদের ২৩টি কলেজ ব্যতীত অন্য কলেজ থেকে বিএড ডিগ্রি নিলে বিএড স্কেল পাওয়া যাবে না।
বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ শিক্ষক সমিতির দাবি, এটি একটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই ও প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে সকল মিডিয়া থেকে এ ধরনের মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহবান জানান তারা। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করে না নেয়া হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানায় শিক্ষক সমিতি।